অংশুমান চক্রবর্তী
নয়ের দশকের উল্লেখযোগ্য কবি প্রসূন ভৌমিক। তাঁর উচ্চারণ একেবারেই স্বতন্ত্র। ভিন্ন সমসাময়িক কবিদের থেকে। তিনি স্পষ্টভাষায় বলেন নিজের সময়ের কথা। তাঁর লেখনীর মধ্যে দেখা যায় মনন ও মেধার মহাসম্মেলন। ‘বিজল্প’ পত্রিকার এই কৃতী সম্পাদক মাঝেমধ্যেই লেখালিখি থেকে বিরতি নিয়েছেন। তবে যখনই ফিরেছেন, রাজকীয় ভাবে। অবশ্য কবিতা রচনা থেকে সাময়িক বিরতি নিলেও, কবিতা তাঁকে কোনো মুহূর্তে ছেড়ে যায়নি। শয়নে স্বপনে জাগরণে তিনি প্রতিনিয়ত ভিজেছেন বিশুদ্ধ কবিতার ধারাজলে। লিপিবদ্ধ না করলেও, মনের পাতায় বপন করে গেছেন অসংখ্য সার্থক কবিতা। কবিতাগুলো তাঁর দর্শন ও ভাবনার রসে জারিত। তাঁর কবিতায় উঠে আসে সেইসব সাধারণ মানুষের কথা, যাঁরা দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বেঁচে রয়েছেন, যাঁরা নিখুঁত প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দেন অত্যাচারী রাজার বিরুদ্ধে। শোষিত মানুষের অলিখিত ভাষ্যই হয়ে ওঠে প্রসূনের কবিতা। প্রতিটি পংক্তির নির্মেদ শরীর থেকে নির্গত হয় লড়াকু মানুষের রক্ত, মেহনতের ঘাম, মুষ্টিবদ্ধ প্রতিবাদ। অচিরেই লেখা হয়ে যায় এক অনন্ত যন্ত্রণার ইতিহাস। এইভাবেই প্রসূন লিখে ফেলেন ‘দ্বেষ’, এইভাবেই প্রসূনের কলমে লেখা হয়ে যায় ‘প্রতিরক্ষা লিখে যাই’।
আর কয়েকদিন পরেই পা রাখতে চলেছে নতুন বছর। নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে ধানসিড়ি প্রকাশন সংস্থা প্রকাশ করতে চলেছে কবি প্রসূন ভৌমিকের নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘প্রতিরক্ষা লিখে যাই’। ইতিমধ্যেই এই কাব্যগ্রন্থের বেশকিছু কবিতা পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে। কাব্যগ্রন্থটির জন্য মুখিয়ে আছেন কবিতাপ্রেমীরা। এক-একটি কাব্যগ্রন্থে বদলে যায় এই কবির কাব্যভাষা। আশাকরি এইবারও তার ব্যতিক্রম হবে না…
Be the first to comment