আড়াই বছর পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট। নির্ধারিত হল নির্বাচনের দিনক্ষণ। তবে সরকারের কাউন্সিল বিধি নয়, পুরোনো নিয়মেই হবে ছাত্রভোট। তিন দিন আগে ছাত্রভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার। সেই বিজ্ঞপ্তির পরই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করে, আগামী ১৪ নভেম্বর হবে তাদের ছাত্র ভোট। সেই দিনই সম্পন্ন হবে ভোট গণনা। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে কাউন্সিল তৈরি হবে ১৫ নভেম্বর। মনোনয়ন পত্র দাখিল হবে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। ভোটের পার্থী হতে গেলে সর্বশেষ সেমিস্টারে উপস্থিতির হার থাকতে হবে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যে চলতি বিধি তা মেনে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট করা হচ্ছে না। বরং আড়াই বছর আগে পর্যন্ত ঠিক যে নিয়মে ছাত্রভোট হয়ে এসেছে প্রেসিডেন্সিতে, সেই নিয়মেই আড়াই বছর পর ফের হতে চলেছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এই ছাত্র সংসদের মেয়াদ থাকবে একবছর। কিন্তু সেন্ট জেভিয়ার্সের মডেলে যে ছাত্র কাউন্সিলের বিধি রাজ্য সরকার চালু করেছিল, সেই বিধি মানা হচ্ছে না। ২০১৭ সালে শেষ বারের মতো রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। এরপর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মতো অন্যান্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও অরাজনৈতিক ছাত্র সংসদ চালাবে। সেই থেকেই রাজ্য সরকার কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন করানোর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ছাত্র সংসদের নির্বাচন না করানোর ব্যাপারে কার্যত অনড়ই ছিল সরকার।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজ্য সরকার হঠাৎ বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট জানায়, ছাত্র পরিষদ বা ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যাই হোক তার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই বিজ্ঞপ্তির পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ঠিক হয়, ইউনিয়ন মডেলেই হবে ছাত্রভোট। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সোমবার এ বিষয়ে প্রথম বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল প্যানেলের মাধ্যমে ভোট হওয়ার কথা তাঁরা জানতে পেরেছেন। ইউনিয়ন মডেলেই ভোট হবে। শুধুই নামমাত্র স্টুডেন্ট কাউন্সিল ইলেকশন। এখনও প্রার্থীর তালিকা ঠিক হয়নি।
Be the first to comment