জুলাই মাসে দুই প্রান্তে অনশন আন্দোলন দেখেছিল শহর কলকাতা। প্রথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তারপর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। তারপরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, তাহলে কি এ বার হিন্দু হস্টেল ইস্যুতে একই পথে হাঁটবে প্রেসিডেন্সি। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিনে সেই পথেই হাঁটা শুরু করেছিল প্রেসির পড়ুয়ারা। হিন্দু হস্টেল খোলার দাবিতে শুরু হয় অনশন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ৭৫ ঘণ্টা অনশন পার করার অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুমিত মণ্ডল নামের এক ছাত্র। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জরুরি বিভাগেই দিতে হয় অক্সিজেন। শুক্রবার ভোর চারটে পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী হাসপাতালেই রাখা হয়েছে ওই ছাত্রকে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর হস্টেল সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের জেরে তালা পড়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে। ভিতরে ঢুকে শতখানেক ছাত্র মিলে আটকে দেন গেট। দরজা থেকেই ফিরে যেতে হয় উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া, রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার-সহ অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের। সেদিনই ছাত্রদের আন্দোলনের এ হেন পথ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নালিশ করেছিলেন ভিসি। বলেছিলেন, “আইন বিরুদ্ধ কাজ করছেন পড়ুয়ারা। এ ভাবে ১০০ জন ছাত্র মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল করে নিতে পারে? কী বলবেন এটাকে? এরা ছাত্র?” পরের দিন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। জরুরি ভিত্তিতে স্থান পরিবর্তন করে সমাবর্তন নিয়ে যাওয়া হয় নন্দন-২ তে। কার্যত কোনও পড়ুয়াই উপস্থিত হননি ওই অনুষ্ঠানে। গেট বন্ধের ঘটনায় শুক্রবার বেলা ১১টায় ৩৫ জন ছাত্রকে দেখা করার জন্য নোটিস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পোর্টিকোতে পাল্টা জমায়েতের ডাক দিয়েছে ছাত্ররাও। এরমধ্যেই আগুনে ঘি ঢেলেছে অনশনরত ছাত্রের অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়া। এখন দেখার শুক্রবার বেলায় কী পরিস্থিতি তৈরি হয় ঐতিহ্যের প্রেসিডেন্সিতে।
Be the first to comment