প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

Spread the love

আপাতত চাকরি যাচ্ছে না ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। শুক্রবার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এমনকি পার্শ্বশিক্ষক নয়, নিয়ম মেনে আগের মতই বেতন পাবেন এই প্রাথমিক শিক্ষকরা। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ফলে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে চাকরি হারাতে বসা ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষক। তবে ডিভিশন বেঞ্চ এটাও জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা বহাল থাকবে।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে চাকরিহারাদের পক্ষের আইনজীবীরা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জানান, আদালতের নির্দেশেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তাদের কোনও তদন্তের রিপোর্টে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি, যার জন্য ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিতে হবে। যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেয়নি আদালত। তাঁদের সঙ্গে কথা না বলেই চাকরি বাতিলের এত বড় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি তৎকালীন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়ম মেনেই নিয়োগ সম্পন্ন হয়। মামলাকারী পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শুক্রবার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেন চারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের তরফে জানানো হয়

১. পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে।
২. পার্শ্ব শিক্ষকদের হারে নয়, আগেই মতোই বেতন পাবেন এই শিক্ষকরা।
৩. প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা বহাল থাকবে।
৪. আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ৪২,৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করে শিক্ষা পর্ষদ। যাদের মধ্যে প্রশিক্ষিত ৬৫০০ জনকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই বাকি ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা আপাতত ৪ মাস তাঁদের স্কুলে যেতে পারবেন। এবং এই ৪ মাস তারা বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনকাঠামো অনুযায়ী। তবে নতুন করে ইন্টারভিউ পাশ করলে তাঁরা চাকরি ফিরে পাবেন। না হলে চাকরি খোয়াতে হবে। পরে ভুল সংশোধন করে আদালত জানায় সংখ্যাটা ৩২ হাজার। তবে সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*