মুখে মাস্ক ৷ মাথায় হেলমেট ৷ ন্যায্য অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন যুবক-যুবতিরা ৷ সরকার বনাম সাধারণ মানুষ ৷ রক্তাক্ত আন্দোলন চলে টানা দু’মাস৷ একের পর এক প্রতিরোধের পরও হার মানেননি আন্দোলনকারীরা ৷ শেষ পর্যন্ত, ইস্তফা দিলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি ৷ ইরাকের সংসদ তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে।
যে কোনওভাবে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেছে সরকার ৷ রাষ্ট্রের তরফে একের পর এক আঘাত আনা হয়েছে আন্দোলনকারীদের উপর ৷ আন্দোলনরত একশোরও বেশি যুবক-যুবতি প্রাণ হারিয়েছেন ৷ গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার অবধি সেনাবাহিনীর বুলেটে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন ৷
ইরাকের সরকার বিরোধী আন্দোলনের মূল দাবি ছিল, রাজনৈতিক দুর্নীতি । প্রয়োজন চাকরি, প্রয়োজন সুস্থ জীবন ৷ পরে দাবি ওঠে – এই সরকারকেই প্রয়োজন নেই আর৷ এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত ৷ ইরানের হাতের পুতুল ৷ গত 1 অক্টোবর ইস্তফা দেওয়ার কথা ছিল মাহদির ৷ কিন্তু, আর কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত না হওয়ায় পদত্যাগ করেননি তিনি ৷ প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করায় আরও জোরদার হয় আন্দোলন ৷ গত বুধবার রাতে তা ভয়াবহ আকার নেয় ৷
দক্ষিণ ইরাকের নজাফের ইরানি কনসুলেটে হামলা করেন আন্দোলনকারীরা ৷ কনসুলেটের ভিতর ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেন ৷ স্লোগান তোলা হয় , ‘বের হও ইরান, বের হও এখান থেকে !’ ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দু’পক্ষের অনেকে আহত হন ৷ পাশাপাশি বাগদাদের রাস্তা জুড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আন্দোলনকারীরা ৷ পরিস্থিতির সামনে নতি স্বীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী ৷
Be the first to comment