ছাত্রী এবং তার মা-কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের কথা জানাজানি হলে অশ্লীল ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার বৈরামপুর এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত শিক্ষক সাবির আলি মণ্ডলকে পুলিশ শনিবার গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রাথমিক শিক্ষকও। গতকাল তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিন পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত কয়েক বছর আগে। বৈরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাবির আলি মণ্ডল ওই কিশোরীকে পড়াতে শুরু করেন।
অভিযোগ, একদিন কিশোরীর মাকে ধর্ষণ করেন গৃহশিক্ষক। পাশাপাশি ঘটনার ছবি তুলে রাখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় এবং সামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে ঘটনাটি চেপে যান নির্যাতিতা। কিন্তু নির্যাতিতার দাবি, এই ঘটনার পরও কমেনি অত্যাচারের মাত্রা। তাঁর মেয়েকেও ধর্ষণ করেন তিনি।
নির্যাতিতার বক্তব্য, এরপর তিনি বিষয়টি গ্রামের মানুষকে জানান। সালিশি সভা বসে। কিন্তু অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় ও তাঁর রাজনৈতিক যোগ থাকায় সালিশি সভা থেকে নিদান আসে, টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে হবে।
এরপর অভিযুক্তর শাস্তি চেয়ে বনগাঁ আদালতের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। গতকাল গোপালনগর থানা অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও POCSO আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
Be the first to comment