বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালি কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন। তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহার কাছে ৫৮ হাজার ভোটে পরাজিত হন। তবুও ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে সেই প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকেই প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির। মমতার বিরুদ্ধে লড়তে মাঠে নামানো হল হাইকোর্টের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কাকে।
ভবানীপুরে প্রার্থী খুঁজতে গিয়ে কার্যত নাজেহাল অবস্থা হয় গেরুয়া শিবিরের। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, ভবানীপুরে এই সময় ভোটের জন্য প্রস্তুত ছিল না বিজেপি। ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে অনেকের নাম নিয়েই আলোচনা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই এই সময়ে প্রার্থী হতে রাজি হচ্ছেন না। কমিশন একতরফাভাবে ভোট ঘোষণা করে দেওয়ায় গেরুয়া শিবিরকে প্রার্থী বাছাইয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েছে, তা দিলীপবাবুর কথাতে স্পষ্ট।
মমতার বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার, দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়, রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভা ভোটে বোলপুরের পরাজিত প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, ভবানীপুরের পরাজিত প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ এবং এন্টালির পরাজিত বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল।
৪১ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা হাজরা ল কলেজ থেকে আইনে স্নাতক। বিজেপি যুব মোর্চার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রিয়াঙ্কা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। বাংলায় ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় রাজ্যের বিরোধী পক্ষের আইনজীবী তিনি।
Be the first to comment