বিজয়দিবসে ব্রাত্য বুকে গুলি খাওয়া ইন্দিরা, মোদীকে তোপ রাহুল-প্রিয়াঙ্কার

Spread the love

মুক্তিযুদ্ধ জয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে ব্রাত্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এই বিষয়ে সকালেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এবার একই বিষয়ে সরব হলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি ও নাতনি তথা দুই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া। প্রিয়াঙ্কা বিজেপি সরকারকে ‘নারী বিদ্বেষী’ বললেন এদিন। রাহুলের কথায়, দেশের জন্য বুকে ৩২টি গুলি খাওয়া ইন্দিরার নামটুকু উচ্চারণ করা হল না!

৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের হয়ে যুদ্ধে জয়লাভ করে ভারত। মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। সেই জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। বৃহস্পতিবার রাহুল বললেন, যিনি দেশের জন্য বুকে ৩২টা গুলি নিয়েছিলেন, তাঁর নামটুকু উচ্চারণ করা হল না কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে। রাহুলের কটাক্ষ, যাঁরা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেননি, তাঁদের কাছ থেকে এর থেকে বেশি আশাও করা যায় না।

অন্য দিকে ইন্দিরার নাতনি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া টুইট করেন, “আমাদের প্রথম ও একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। বিজয় দিবস উৎসব তাঁকে বাদ দিয়েছে নারী বিদ্বেষী বিজেপি সরকার। অথচ তাঁর নেতৃত্বেই ৫০ বছর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিল ভারত, স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ।”

সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তোপ দেগে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, “নরেন্দ্র মোদিজি, আপনার সস্তা মন্তব্যকে বিশ্বাস করে না মহিলারা। আপনার দেশপ্রেমিক হাবভাবের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এখনও সময় আছে, মহিলাদের প্রাপ্য মর্যাদা দিন।”

প্রিয়াঙ্কা টুইটারে চারটি সাদকালো ছবিও পোস্ট করেন। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধে আহত ভারতীয় সৈনিকের সঙ্গে হাসপাতালে সাক্ষাৎ করছেন ইন্দিরা গান্ধী, অন্য ছবিতে সেনা অধিকারিকদের সঙ্গে হাস্যমুখে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, আরও একটি ছবিতে মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে ইন্দিরাকে।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে। নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দিনটিকে জাতীয় যুদ্ধ স্মারক দিবস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এদিকে বুধবারই ঢাকা পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতে একাত্তরের যুদ্ধে শহিদ জাওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। যদিও প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাম উচ্চারণ করা হয়নি কোথাও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*