আটক থাকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। সংবাদসংস্থা সূত্রে দাবি, প্রিয়াঙ্কা সহ ১১ জন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপর ড্রোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে সরব কংগ্রেস।
উত্তরপ্রদেশে সীতাপুরে আটক থাকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপর কারা এই নজরদারি চালাচ্ছিল তা নিয়ে সরব হয়েছে হাত শিবির। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল একটি ড্রোনের ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেছেন। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রুমের উপর এটি কার ড্রোন। তাঁকে ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়েছে কেন? কে উত্তর দেবে?’
সোমবার ভোর হওয়ার আগেই লখিমপুর খেরির দিকে রওনা দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু তাঁকে মাঝপথে আটক করে যোগী রাজ্যের পুলিশ। সীতাপুর জেলার হরগাঁও থেকে কংগ্রেস নেত্রীকে আটক করা হয়। কেন তাঁকে আটক করা হচ্ছে তা নিয়ে সরব হন প্রিয়াঙ্কা। তিনি পুলিশের কাছে সাফ জানতে চান, ‘অর্ডার কোথায়? আমাকে সেটা দেখান… যদি কোনও অর্ডার না থাকে, তাহলে আপনারা আমাকে আটকাচ্ছে কী ভাবে?’
পুলিশের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার এই কথা কাটাকাটির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই প্রিয়াঙ্কার সাহসকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন। মঙ্গলবার বোনের প্রশংসা করে টুইট করেন রাহুল গান্ধী। তিনি লেখেন, ‘যাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে সে ভয় পায় না, একজন সত্যিকারের কংগ্রেসী। যে কখনও হার মানবে না। সত্যাগ্রহ থামবে না।’
আটক করার পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে PAC গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আটক ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী। কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী গেস্ট হাউসের বাইরে প্রিয়াঙ্কার মুক্তির অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। আটক থাকা অবস্থাতেই প্রিয়াঙ্কার বার্তা দেন, ছাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি খেরিতে শোকাহত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। এরপরেই জানা যায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।
উল্লেখ্য, এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভিডিয়ো বার্তায় চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মোদীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘লখিমপুর আসুন। যারা এই দেশের অন্নদাতা, যারা দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছেন তাঁদের কষ্ট এসে দেখুন, শুনুন।’
Be the first to comment