২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডের এগারো জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। এই ঘটনায় গতকালই বিরোধীরা তোপ দেগেছে গুজরাটের বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এবার ওই ঘটনায় মোদিকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। পাশাপাশি বুধবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের তরফে ধিক্কার জানানো হয় গোটা ঘটনায়।
গুজরাটের গোধরা জেল থেকে বিলকিস বানো গণধর্ষণে দোষীরা মুক্তি পাওয়ায় টুইট করেন রাহুল গান্ধী। মোদিকে রাহুলের তোপ, “গোটা দেশে দেখছে, উনি যা বলেন আর যা করেন তার মধ্যে বিস্তর ফারাক।” উল্লেখ্য, দোষীদের মুক্তির খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টা আগে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে নারীশক্তির জয়গান গাইতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
বুধবার রাহুল টুইট করেন, “যারা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণ করেছিল, খুন করেছিল ৩ বছরের শিশুকে, তাদের মুক্তি দেওয়া হল স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে! যিনি নারী শক্তির কথা বলেন তিনি মহিলাদের জন্য কী বার্তা দিলেন? প্রধানমন্ত্রী, গোটা দেশ দেখছে আপনার বলা ও করার মধ্যে কতটা তফাত।” একই বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এটা কি অন্যায় ও অসংবেদনশীলতার চূড়ান্ত নয়?” কংগ্রেস নেত্রী টুইট করেন, “গর্ভবতী মহিলাকে গণধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে সমস্ত আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া অপরাধীদের বিজেপি সরকার মুক্তি দিয়েছে, ক্যামেরার সামনে তাদের স্বাগত জানানো হয়েছে- এটা কি অন্যায় ও অসংবেদনশীলতার চূড়ান্ত নয়?” প্রিয়াঙ্কার কটাক্ষ, “মহিলাদের প্রতি নরেন্দ্র মোদির সম্মান কি শুধুই ভাষণের জন্য? প্রশ্ন করছেন মহিলারা।”
উল্লেখ্য, সোমবার গোধরা জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের। ২০০৮ সালে তাদের সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে গত জুনে কেন্দ্র যে গাইডলাইন দিয়েছিল তাতে রাজ্যগুলির কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল জেলবন্দি আসামিদের একাংশের মুক্তির। তবে তাতে পরিষ্কার করা ছিল, কোনও ভাবেই যেন কোনও ধর্ষককে ছাড়া না হয়। এরপরও গুজরাট সরকার কী করে ওই গণধর্ষণকারীদের মুক্তি দিল? উঠছে প্রশ্ন।
Be the first to comment