চাকরি দিতে হবে প্রিয়াঙ্কা সাউকে, সময় বেঁধে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Spread the love

ববিতা সরকারের পর এবার প্রিয়াঙ্কা সাউ। একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ মামলায় প্রিয়াঙ্কাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৮ অক্টোবরের মধ্যে তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। অভিযোগ ছিল, প্রিয়াঙ্কার থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীও চাকরি পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছেন প্রিয়াঙ্কা। পরে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। বাড়ির কাছের কোনও স্কুলেই চাকরি দিতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে অপসারণ ও ববিতা সরকারকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে কার্যত নজির গড়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, ১১ থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে কাউন্সেলিং করে সুপারিশ পত্র দিতে হবে প্রিয়াঙ্কাকে। আর ২৯ অক্টোবরের মধ্যে দিতে হবে নিয়োগপত্র। আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাড়ির কাছে তিনটি স্কুলের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে প্রিয়াঙ্কাকে।

এসএসসি-র চাকরি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা সাউ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে সামিল ছিলেন। তবে আদালতের দ্বারস্থ হন অনেক পরে। বৃহস্পতিবারের এই নির্দেশের পর তিনি জানিয়েছেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হবে, এমনটাই আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন আদালতে যাওয়া ছাড়া আর কোনও গতি নেই। এরপরই মামলা করেন তিনি।

২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ২০১৯ সালে তাঁর থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীর চাকরি হয় বলে অভিযোগ। একাদশ-দ্বাদশের ইংরাজি বিষয়ের শিক্ষক পদপ্রার্থী তিনি।

প্রিয়াঙ্কা জানান, ব্যয় ও সময় সাপেক্ষ বলে প্রথমে আদালতে যেতে দ্বিধাবোধ করেছিলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আদালত বার্তা দিচ্ছে। প্রথম বার্তা হল শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা যে শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছেন, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। যোগ্য প্রার্থীরা স্কুলে যেতে পারলে শিক্ষা ব্যবস্থা নতুন রূপ দেখা যাবে।’

আদালত এই নির্দেশ দেওয়ার পর প্রিয়াঙ্কাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ববিতা সরকার। তিনিও এ কথা স্বীকার করে নেন, আদালতে না গেলে যে চাকরি পাওয়া যাবে না, এটা পরিষ্কার। তাঁর কথায়, আগামিদিনে যাতে এমনটা না হয়, সেটা যেন নিশ্চিত করে কমিশন তথা সরকার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*