এন্টালিতে পরাজয় হয়েছিল। তারপরও দল ভরসা রেখেছে তাঁর উপর। তাই ভবানীপুর উপনির্বাচনে সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। যিনি একজন আইনজীবী। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সুতরাং ভবানীপুর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছেই। এদিন তাঁর সঙ্গে মনোনয়ন পেশের সময় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক সাংসদ অর্জুন সিং, দীনেশ ত্রিবেদী–সহ আরও অনেকে।
এদিন একটা ছোট মিছিলও করা হয়। মনোনয়ন পেশের আগে গোল মন্দিরে পুজো দেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে ঢাক–ঢোল বেজে ওঠে। ধুনুচি হাতে নাচেন অনেকে। মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী। তারপরেই তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, ‘খেলার শেষ দেখে ছাড়ব।’ অর্থাৎ তিনি যে লড়াই করতে প্রস্তুত তা স্পষ্ট ভাষায বুঝিয়ে দেন তিনি।
ভিক্টোরিয়ায় সকালে জনসংযোগ করতে বেরিয়ে আগের দিন তিনি বলেছিলেন, ‘ওঁর ওজন বেশি। তাই উনি হেভিওয়েট।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেস মাঠে–ময়দানেই বুঝে নিতে চাইছেন। বিজেপি প্রার্থীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘বিজেপি নেতাদের লজ্জা হওয়া উচিত। কোনও উপযুক্ত নেতা খুঁজে পায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাই মেয়ের বয়সিকে প্রার্থী করেছে।’
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের নিরিখে ভবানীপুরের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টিতে পিছিয়ে ছিল বিজেপি। অবাঙালি অধ্যুষিত দুটি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল তারা। এবারও সেই দুটি ওয়ার্ডের উপরই বাড়তি জোর দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। মনোনয়নের পর থেকে বাড়তি জোর দেবেন প্রচারে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই প্রার্থী যাবেন বলে খবর। গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াইয়ে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
Be the first to comment