লড়াইয়ের মদয়ানে নেমে হুঙ্কার দিলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখতে পেলেন না বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বহু পিছিয়ে প্রিয়াঙ্কা। তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৯৬টি ভোট। এদিকে ভোটে পরাজিত হয়েও বিজেপি প্রার্থী জানালেন, ‘ভবানীপুর আমি ছাড়ব না’।
ঠিক কী বলেছেন প্রিয়াঙ্কা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের খবর সামনে আসার পরেই প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘ভবানীপুর আমি ছাড়ব না। আমি দিদিকে জয়ের জন্য অভিনন্দন এবং প্রণাম জানাই।’ কিন্তু, এরপরেই তৃণমূলকে তোপ দাগেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, ‘এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।’ তবে প্রিয়াঙ্কা এদিন আরও বলেন, ‘হার স্বীকার করে নিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত বা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব না।’ তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নয়, ভোটের দিনেও কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এদিন সকালে ১২৬ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হতে বিলম্ব হয়। সেই সময় প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘এই ওয়ার্ডের ১২৬ নম্বর বুথে ভোট শুরু করা যায়নি। এই এলাকা মদন মিত্রের এলাকা। তিনি বুথ দখল করতে চাইছেন।’ যদিও তাঁর এইদাবি উড়িয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জানানো হয় মকপোলের জন্য ওই বুথে ভোট গ্রহণে দেরি হয়েছিল। এদিকে ভোটের দিনে আরও একটি বুথে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছিলেন, বহিরাগত নিয়ে এসে গণ্ডগোল সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তবে বেশি সংখ্যক ভোট পড়লে ফলাফল যাবে বিজেপির দিকেই, জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ভবানীপুরে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের রেকর্ডে নিজেই ভেঙেছেন তিনি। ৫৮ হাজার ৮৩২ ব্যবধানে নিকটতম প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। এই ফলাফল তাঁর ২০১১ সালের রেকর্ডকেও ভেঙেছে। প্রথম থেকেই রেকর্ড ব্যবধানে জয়ই তৃণমূলের লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্যে সফলও হয়েছে রাজ্য শাসক দল। গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন তিনি। যত বেলা গড়িয়েছে তত ফলাফল স্পষ্ট হয়েছে। সেভাবে ছাপ ছাড়তে পারেননি প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল।
Be the first to comment