প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সহ-সভাপতি। পেশায় আইনজীবী। স্মার্ট, শিক্ষিতা, পরিশীলিত। প্রিয়াঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল রোজদিন। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে নারীদের কোনও উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ আনলেন প্রিয়াঙ্কা। বললেন, কেন্দ্রের বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও-এর সুফল বাংলার মেয়েদের পেতে দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের উপর অত্যাচার ক্রমাগত বেড়েছে, বেড়েছে নারী পাচার। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট তাই বলে। কেন্দ্রকে তো আপডেটেড রিপোর্ট পাঠাচ্ছেও না রাজ্য। দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন প্রিয়াঙ্কা। বলেন, চ্যারিটি বিগেনস অ্যাট হোম। নারদা-সারদা থেকে শুরু করে আমফান-কোভিডের দুর্নীতি। সবাই বলছে, চালচোর সরকার আর নেই দরকার। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা মানুষকে পেতে দেওয়া হচ্ছে না। আয়ুষ্মান ভারতের টাকা পেতে না দিয়ে কেন স্বাস্থ্যসাথী? কৃষক সম্মাননিধির ৬ হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত বাংলার কৃষকরা। শুধুই তোলাবাজি, কাটমানি, সিন্ডিকেটরাজ। বিজেপি পরিবারের রাজনীতি করে না। যেটা বাংলায় পিসি-ভাইপো করছে। বহিরাগত বলে আমাদের নেতাদের আক্রমণ করা হচ্ছে। অথচ ওদের স্ট্রাটেজি শেখাচ্ছেন তিনি কোথাকার? ওদের নিজেদের দলের নেতারাই বলছেন, পিকে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস দলটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। ওদের নেতাদের বেশিরভাগই কেউ জেলে, কেউ বেলে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির কি বোঝেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন, তখন যে লড়াই করেছিলেন, তার বিন্দুমাত্র লড়াইয়ের ইতিহাস অভিষেকের নেই।
আমাদের রাজ্যে মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তৃণমূল দলের রাজনীতিতেও দমনমূলক নীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। যাদের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের দমিয়ে রেখে সাবঅর্ডিনেটদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সবই হচ্ছে ভাইপোর নেতৃত্বে। বহু বিক্ষুব্ধ বিধায়ক আমাদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। দেখলেন তো শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কতজন আমাদের দলে যোগ দিলেন। আসলে এই সরকার নির্বাচনের আগেই পড়ে যাবে। যে বাড়ির ভীত কমজোরি, সে বাড়ি আঁধি আর তুফানে ভেঙে পড়ে। আমরা বিজেপি হচ্ছি আঁধি, আমরা হচ্ছি তুফান। ওরা আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে পেড়ে না উঠে ধর্মের জিগির তোলে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মুসলিম তোষণ করে ধর্মের রাজনীতি আমরা করি না। মহরমে ছুটি, ইদে ছুটি, রামনবমীতে কিছু নেই। ওঁনাকে সামনে রাম নাম করলে বলেন, আমাকে গালিগালাজ করেছে। আবার প্রয়োজনে নিজেও হিন্দুদের মন্ত্র বলেন। হঠাৎ করে হিন্দু দেবতাদের নাম বলেন। যদি তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএম একও হয়ে যায়, তাহলেও বিজেপির এই ঝড়কে সামলাতে পারবেন না। মমতার অবস্থা তাঁর পূর্বসূরি বামফ্রন্টের থেকে আরও খারাপ। আজ অবধি কেউ রাজ্যপালের উপর আঙুল তুলেছেন দেখেছেন। কিন্তু মমতা ও তাঁর দল সেটা পর্যন্ত করছে। এর মাশুল তাঁদের গুনতেই হবে। অরাজক অবস্থা থেকে মোদিজি, অমিত শাহজি, নাড্ডাজির নেতৃত্বে আমরা সোনার বাংলা গড়ব।
Be the first to comment