চিরন্তন ব্যানার্জি:-
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যখন উত্তাল গোটা দেশ। তখনই টলিপাড়ায় ঘটে গেল বড় খবর। যৌন হেনস্তার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল পরিচালক অরিন্দম শীলকে। তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছে ডিরেক্টরস গিল্ড। মেল মারফত অরিন্দম শীলকে এই সাসপেনশনের নোটিস পাঠানো হয়েছে। পরিচালকের সদস্য পদ সংখ্যা ১৯৩।
পরিচালকের বিরুদ্ধে অনেক দিন আগেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন এক অভিনেত্রী। তারপরই এই সিদ্ধান্তের কথা জানালো ডিরেক্টরস গিল্ড। কর্তৃপক্ষের তরফে পরিচালককে জানানো হয়েছে, কয়েক দিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং কিছু প্রমাণও তাঁরা পেয়েছেন। তাই যতদিন না পর্যন্ত এই অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হচ্ছে, ততদিন তাঁকে সাসপেন্ড থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার এক অভিনেত্রী অভিযুক্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন।
এই সাসপেনশন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন খোদ পরিচালক শীল। তাঁর বক্তব্য, ”আমাকে বলা হয়েছে শ্যুট বোঝাতে গিয়ে আমি হেনস্থা করেছি। ডিওপি থেকে শুরু করে ফ্লোরে সবাই ছিল। শুক্রবার মহিলা কমিশনে আমি সবটা বলেছি। এটাও জানিয়েছি, আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকে তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। গিল্ড আমার কথা শোনার কোনও প্রয়োজন মনে করেনি। একতরফা এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, বিষয়টি ‘একটি খুনির সন্ধানে’ সিনেমার সেটে হয়েছে। সাহেব ও অভিযোগকারী অভিনেত্রীকে তিনি একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তা একটি ‘চিট শট’ ছিল। পরিচালক শট বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। সেই সময় ‘অ্যাক্সিডেন্টালি’ পরিচালকের মুখ অভিনেত্রীর গালে লেগে যায়। আর সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃতভাবেই হয়েছিল। তখনও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া হয়নি। পরিচালকের পালটা অভিযোগ, শুটিং নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছিল। তার অনেক পরে তিনি জানতে পারেন যে অভিযোগকারী অভিনেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ জানিয়েছেন। মহিলা কমিশনেও তিনি গিয়েছিলেন। নিজের বক্তব্য জানিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে লিখিত দিতে বলা হয়েছিল। পরিচালক জানান, অনিচ্ছাকৃতভাবেই যে ঘটনাটি ঘটেছে তা তিনি লিখিতভাবেই দিতে যাচ্ছিলেন। তাতে অভিনেত্রী রাজি ছিলেন না। তখন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুরোধে তিনি অনিচ্ছাকৃত শব্দটি বাদ দেন। সেটিই এখন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিচালক জানান, বিষয়টি আইনজীবীদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। তার পর সিদ্ধান্ত নেবেন।
Be the first to comment