
রোজদিন ডেস্ক : বেতবোনায় রাজ্যপালের কনভয় আটকে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাজ্যপাল বেতবোনায় নামলেন না কেন? সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভ তুলতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও আধাসেনা। ডাকবাংলো মোড়ে দাঁড়িয়ে পড়ে রাজ্যপালের গাড়ি। পরে খবর পেয়ে বেতবোনায় ফিরে আসেন রাজ্যপাল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ ‘উড়িয়ে’ মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি দেখতে নবাবের জেলায় গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে বেতবোনা এলাকার উপর দিয়ে যাচ্ছিল রাজ্যপালের কনভয়। সিভি আনন্দ বোসের গাড়ি বেরিয়ে যেতেই, কনভয়ের বাকি গাড়িগুলির সামনে চলে আসেন স্থানীয়রা। আটকে দেওয়া হয় কনভয়ের বাকি গাড়ি। রাজ্যপালকে ‘মনের কথা’ বলতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। মূলত তাঁদের উপর হামলার অভিযোগ ও সমস্যার কথা জানাতে চান স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও আধাসেনা। গ্রামবাসীকে পুলিশের তরফে বোঝানো হয়, রাজ্যপাল কোথায় যাবেন, তা ঠিক করা হয় রাজভবনের তরফে। সেখানে রাজ্য প্রশাসনের কোনও ভূমিকা নেই।
এদিকে ধুলিয়ান বাজার এলাকায় ডাকবাংলো মোড়ে দাঁড়িয়ে পড়ে রাজ্যপালের গাড়ি। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। স্থানীয়দের নিরাপত্তা বাড়নোর কথা বলেছেন তিনি। সব জায়গায় বিএসএফ ক্যাম্প খোলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে কনভয় আটকে পড়ার খবর পেয়ে ফের বেতবোনায় ফিরে আসেন রাজ্যপাল। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। রাজ্যপাল আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে প্রথমেই শান্তি ফেরানোর বার্তা দেন। বলেন, শান্তি ফেরানোই মূল লক্ষ্য। তাতে জোর দিতে হবে। আর এর জন্য রাজ্য সরকারের উচিত উপযুক্ত পদক্ষেপ করা। এই পরিপ্রেক্ষিতে আবার তিনি আক্রান্তদের রাজভবনের পিসরুমের ফোন নম্বর দিয়েছেন। বলেছেন, কোনও অসুবিধা হলেই ফোন করতে।
Be the first to comment