ধর্মতলায় আজ বেগুনি মিছিল। আশাকর্মীদের প্রতিবাদ মিছিলে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ধর্মতলায়। ‘স্বাস্থ্যকর্মী’ স্বীকৃতির দাবিতে এই মিছিল আশাকর্মীদের। ধর্মতলায় প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদিন ধর্মতলায় জমায়েত করেন আশা কর্মীরা। এর আগে তাঁরা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সেখান থেকে একটা মিছিল ধর্মতলায় এসে পৌঁছেছে। বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাঁদের মূল দাবি, ন্যূনতম বেতন ২১ হাজার টাকা করতে হবে। এই দাবি নিয়ে তাঁরা এদিন মিছিল করছেন। এছাড়াও রয়েছে একাধিক অভিযোগ। কয়েকশো আশাকর্মী জমায়েত হয়েছেন ধর্মতলায়।
আশাকর্মীদের মূল দাবি, তাঁদের স্বাস্থ্যকর্মী স্বীকৃতি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, ন্যূনতম বেতন ২১ হাজার টাকা করতে হবে। এক্ষেত্রে এক বিক্ষোভকারী আশাকর্মী বলেন, “ক্ষেপে ক্ষেপে টাকা ভাগ করে টাকা দেওয়া চলবে না। কারণ তাতে অসুবিধা হচ্ছে। আমরা সেটা মেলাতেই পারছি না। কারণ আমরা এতে বুঝতে পারছি না, কত টাকা আমাদের প্রাপ্য, আর কতটা আমরা পাচ্ছি। আমাদের সরকারি স্বীকৃতি দিতে হবে। আমরা এতটা পরিশ্রম করে কোভিডকালেও সেবা করে গিয়েছি। আমাদের একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়নি।”
যতক্ষণ না তাঁদের দাবি মিটছে, ততক্ষণ তাঁরা বিক্ষোভ চালাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আশাকর্মীরা। জমায়েতের জেরে রানি রাসমনি রোড অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। গোটা রানি রাসমনি রোড কার্যত আশাকর্মীদের দখলে। ব্যানার-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
রানি রাসমনির রোডের মাত্র একটি রো দিয়েই আপাতত যানবাহন চলছে। বাকি দুটি রো বন্ধ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা ইসমেতারা খাতুন জানিয়েছেন, আশাকর্মীদের মূল কাজ গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য পরিষেবা দেওয়া। কিন্তু তাঁদের দিয়ে নানা প্রকল্পের কাজ করানো হয়। কোভিড সংক্রমণের সময়ে তারাই সামনের সারিতে থেকে কাজ করেছেন। অথচ তাঁদের কোনও স্থায়ী বেতন কাঠামো নেই।
প্রসঙ্গত, এক আগেও একই দাবিতে জেলাভিত্তিক আন্দোলনে নেমেছিলেন আশাকর্মীরা। বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বাঁকুড়া, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের আশাকর্মীরা। কিন্তু এবার গোটা রাজ্যের আশাকর্মীদের গলা চড়েছে ধর্মতলায়। পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে পুলিশও।
Be the first to comment