কেন্দ্রকে কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে। বাতিল না করা পর্যন্ত দেশজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন-প্রতিবাদ চলবেই। মঙ্গলবার রানি রাসমণি রোডে অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে নিজেদের বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। মাসাধিককাল ধরে দেশের দুর্বার কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে, বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে, অত্যাবশ্যক পণ্য আইন সংশোধনের দাবিতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগাতার অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে অবস্থান বিক্ষোভ করছে ১৬ টি বামপন্থী ও সহযোগী দল এবং কংগ্রেসের নেতৃত্ব। কোভিড পরিস্থিতিতে মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে মধ্য কলকাতায়।
সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। কেন্দ্র দেশের অন্নদাতা কৃষকদের বিক্রি করে দিতে চাইছে কর্পোরেট সংস্থার হাতে। শিক্ষক-কর্মচারী সহ সরকারি বহু শূন্যপদ এখনও পূরণ করেনি এই রাজ্যের সরকার। শ্রমিক স্বার্থ-বিরোধী শ্রম আইন বাতিল না করা পর্যন্ত দেশের সর্বত্র অবস্থান-বিক্ষোভ করবে বামপন্থীরা। ভারতীয় জনতা পার্টি কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় আসার পর থেকে মহিলা, দলিত এবং আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আজ অবস্থান বিক্ষোভ।
দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে রাজ্যের কৃষক-খেতমজুর সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই অবস্থান-বিক্ষোভ করেছে রানি রাসমণি রোডে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, আজকের বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের যৌথ অবস্থান প্রমাণ করে দিল কৃষকদের আন্দোলনের ইস্যুতেও রাজ্য রাজনীতিতে আসলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একদিকে তৃণমূল এবং বিজেপি। অন্যদিকে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। শাসক দল তৃণমূল থেকে যাঁরা বিজেপিতে যাচ্ছেন বা বিজেপি থেকে যাঁরা তৃণমূলে ফিরছেন অর্থাৎ এই দুই দলের মধ্যে দলবদল যাঁরা করছেন, তাঁরা “গট আপ” খেলছেন বলেও দাবি করেন বিমান বসু।
এদিকে দিল্লি সীমান্তে অব্যাহত কৃষক আন্দোলন । কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। দাবি একটাই, কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে কেন্দ্রকে। কৃষকদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনাও করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এরই মাঝে আগামীকাল কৃষকদের সঙ্গে আরও এক দফা আলোচনায় বসতে চলেছে কেন্দ্র।
Be the first to comment