মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ির সামনে ভিন্ন চিত্র। একদিকে মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অন্যদিকে, মন্ত্রীর বাড়ির সামনে সিবিআই অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ‘মলয় ঘটক জিন্দাবাদ’, ‘সিবিআই দূর হঠো’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সিবিআই পাঠাচ্ছে বিজেপি। কোনও দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপির কোনও নেতার বাড়িতে কেন অভিযান হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতা বলেন, “বিজেপির দালাল হিসাবে কাজ করছে সিবিআই। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। বিজেপি শূন্য হয়ে গিয়েছে। তাই ইডি-সিবিআইকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”
এই বিক্ষোভের মাঝেই দেখা যায়, আসানসোলে মলয় ঘটকের এক বাড়িতে আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর সোনা গুপ্তা আসেন। তিনি অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাধার মুখে পড়েন। তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বাড়িতে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তার দায় কে নেবেন?” যদিও তাতে চিড়ে ভেজেনি। ওই কাউন্সিলর সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই সেরকম উত্তর দেননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, দিদি নাকি দেখতে এসেছিলেন।
মলয় ঘটকের আসানসোলের তিনটি বাড়ি ও কলকাতার তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কয়লা পাচার মামলাতেই চলছে তল্লাশি। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একযোগে মলয় ঘটকের ছ’টি বাড়িতে অতর্কিতে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে মলয় ঘটক সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে মলয়ের বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি করছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কলকাতার লেক গার্ডেন্স, রাজভবনের সরকারি আবাসনেও তল্লাশি চলছে। বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অভিযান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। সিবিআই হানা দিলেও মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে নেই। স্বভাবতই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এর আগেও মলয়কে বেশ কয়েকবার ইডি তলব করেছিল। একবার তিনি হাজিরাও দিয়েছিলেন। তবে পরপর বেশ ক’বার তিনি ইডির জেরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।
Be the first to comment