রবিবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে চা শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় সমাবেশে যোগ দেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান থেকে চা-শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। চা-শ্রমিকদের পিএফ, গ্র্যাচুইটি সুরক্ষিত করার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি তোলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।
একইসঙ্গে চা বাগানের শ্রমিকদের পরিচয়পত্র দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। এদিন অভিষেক সমস্ত চা-শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন, শ্রমদফতর আগামী তিন মাসের মধ্যে তাঁদের পরিচয়পত্র দেবে। এদিকে অভিষেকের এই বক্তব্যর পাল্টা বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আগে ১ মার্চ পর্যন্ত দলটা থাকুক। তারপর চিন্তাভাবনা করবেন। উত্তরবঙ্গে যারা পিএফ-এর টাকা নিয়ে নয় ছয় করেছেন, ১১ বছরের মধ্যে তাঁদের ক’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে?”
এদিন চা-শ্রমিকদের সমাবেশে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পিএফ, গ্র্যাচুইটির দাবিতে সমস্ত চা বাগানের শ্রমিকদের পথে নামতে হবে। প্রত্যেকটা চা বাগানে আন্দোলন সংগঠিত করার ডাক দেন এদিন। কাজ না হলে প্রথমে জেলার পিএফ অফিস ঘেরাও এবং পরে জানুয়ারি থেকে উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক, বিজেপি সাংসদদের বাড়ি ঘেরাওয়েরও ডাক দেন অভিষেক। অভিষেকের বক্তব্য, কলকাতা থেকে তিনি নিজে আসবেন। দরকারে দিল্লি অবধি যাবেন।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পিএফ, গ্র্যাচুইটির দাবি যেহেতু ন্যায্য, আমি শ্রমমন্ত্রীকে বলব ৬টা চা বলয়ের ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার চা শ্রমিকের সবার যেন আগামিদিনে একটা করে আইডি কার্ড তৈরি হয়। তিন মাসের মধ্যে এটা শ্রম দফতরকে সুনিশ্চিত করতে হবে। ৩১ জানুয়ারি মধ্যে প্রতিটা শ্রমিকের হাতে আইডি কার্ড পৌঁছে যাবে। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি।” একইসঙ্গে অভিষেক এদিন সমাবেশ মঞ্চ থেকে দাবি করেন, “পিএফ, গ্র্যাচুইটি কেন্দ্রের বিষয়। এই টাকা প্রতিটা শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে বিজেপি সরকারকে পাঠাতে হবে। আমরা এর জন্য তিন মাসের সময় দিচ্ছি।”
অনেক সময় চা মালিকদের বিরুদ্ধে চা-শ্রমিকদের পিএফ, গ্র্যাচুইটি না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এদিন এ নিয়ে কড়া বার্তা দেন অভিষেক। বলেন, “আগামী তিন মাসের মধ্যে পে স্লিপ দেওয়ার জন্য আমি শ্রমমন্ত্রীর কাছেও অনুরোধ করেছি। তারপরেও যে মালিকরা টাকা দেবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাতে হবে।”
Be the first to comment