পুদুচেরিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ উপরাজ্যপালের

Spread the love

পুদুচেরিতে রাজনৈতিক সংকট। ভোটের মুখে পুদুচেরিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করলেন উপরাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন। গত সোমবার আস্থা ভোটে হেরে যান কংগ্রেসের ভি নারায়ণস্বামী।

এরপরই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন। নির্বাচনের প্রাক্কালে কংগ্রেস সরকারের পতনের পর সরকার গড়ার দাবি জানাতে পারে BJP ও তার শরিকরা, এমন সম্ভাবনাই ছিল। কিন্তু, সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে সরকার গড়ার দাবি জানাবে না BJP। আর তারপরই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করলেন উপরাজ্যপাল।

উল্লেখ্য, গত রবিবার কংগ্রেসের দুই বিধায়ক ইস্তফা দেন। তার ফলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে কংগ্রেস সরকার। সোমবার পুদুচেরি বিধানসভায় আস্থা ভোটের শুরুতেই শাসকদলের বিধায়করা ওয়াক আউট করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস সরকার, ঘোষণা করেন স্পিকার। আস্থা ভোটে হারের পরই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন নারায়ণস্বামী। ভি নারায়ণস্বামী বলেন, ‘পুদুচেরিতে জোর করে হিন্দি চাপানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিধায়কদের দলের প্রতি অনুগত থাকা উচিত। যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা সুবিধাবাদী।’

রবিবার পদত্যাগ করেন কংগ্রেস বিধায়ক লক্ষ্মীনারারণ। চারবার কংগ্রেসের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। পদত্যাগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, দলের মধ্যে যোগ্য গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না। তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে, এই দিনই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেসের জোট শরিক DMK-এর বিধায়ক ভেঙ্কটেশন। অবশ্য পদত্যাগের কারণ এখনও খোলসা করেননি তিনি।

এই পদত্যাগের পর পুদুচেরিতে ২৬টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের হাতে ছিল মাত্র ১২টি। সম্প্রতি পুদুচেরির কংগ্রেস বিধায়ক এ জন কুমার পদত্যাগ করেন। এরপরেই কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় বলে দাবি ওঠে। জন কুমারের পদত্যাদের পর পুদুচেরির ৩৩ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস-DMK এবং AIADMK-BJP দুই জোটেরই বিধায়ক সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৪। কিন্তু, এই দুই বিধায়কের পদত্যাগের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় শাসক জোট।

সম্প্রতি পুদুচেরির উপরাজ্যপাল পদ থেকে সরানো হয় কিরণ বেদিকে। তাঁর জায়গায় ওই পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন। নির্বাচনের মুখে কিরণ বেদির অপসারণ ঘিরে জোর জল্পনা ছড়ায়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*