ধর্ষণের আরও একটি মর্মান্তিক পরিণাম। মেয়েকে ঘরে আটকে ধর্ষণ চালাত বাবা ও তার বন্ধু। অবশেষে গর্ভবতী তরুণীকে তাঁর ঘরেই মর্মান্তিক অবস্থায় উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি পাঞ্জাবের প্রত্যন্ত গ্রাম রূপনগরের।বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীকে উদ্ধারের আগেই চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
কয়েক বছর ধরেই বাবার বিকৃত চাহিদার শিকার ওই তরুণী। প্রথমে বাবা পরে বাবার বন্ধু, দুজনে মিলে দফায় দফায় তরুণীর উপর নৃশংস যৌন নির্যাতন চালাতো। প্রায় প্রতিদিনই দুইজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ওই গ্রামেরই একটি মহিলা ও শিশু সুরক্ষা সংগঠনের তৎপরতায়। তরুণীর করুণ অবস্থা জানতে পেরে তারাই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের আসার খবর আগেই পেয়ে যায় মেয়েটির ধর্ষক বাবা ও সেই বন্ধু। তাই তল্লাশির আগেই বাড়ি ছাড়ে তারা।
প্রায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে ভর্তি করার পর জানা যায়, মেয়েটি সাত মাসের গর্ভবতী। হাসপাতালের বেডে শুয়েই পুলিশকে নিজের বয়ান দেন তরুণী। জানান, কীভাবে দিনের পর দিন ধর্ষণ চলেছে তাঁর উপর। প্রথমে তাঁরা বাবা পরে বাবার বন্ধু। পালানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। ধরা পড়ার পর নির্যাতন দ্বিগুণ হয়ে যায় বলে জানান আতঙ্কিত নির্যাতিতা। আপাতত তরুণী চিকিৎসাধীন। মনোবিদরাও তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধ পকসো মামলা অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।
Be the first to comment