বিশেষ প্রতিনিধি,
ধন-সম্পদের মালিকানার নিরিখে এ দেশের ধনীতম মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হল ওড়িশার জগন্নাথ মন্দির ৷ মন্দিরে রয়েছে দু’টি রত্ন ভাণ্ডার ৷ যেগুলি হল-‘ভিতর ভাণ্ডার’ এবং ‘বাহার ভাণ্ডার’ ৷ মন্দিরে যখন কোনও উৎসব হয়, তখন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে অলঙ্কার দিয়ে সাজিয়ে তুলতে ‘বাহার ভাণ্ডারের’ অলঙ্কারই ব্যবহার করা হয় ৷ আর মন্দিরে যে দু’টি রত্ন ভাণ্ডার রয়েছে, তাতে রয়েছে সাতটি কক্ষ ৷ কিন্তু তার বেশির ভাগই বন্ধ থাকে ৷ এই রত্ন ভাণ্ডারে যে কত পরিমাণ ধন-সম্পত্তি রয়েছে, তার সঠিক পরিমাণ জানা নেই মন্দির কর্তৃপক্ষের ৷ আর খোঁজ মিলছে না সেই রত্নভাণ্ডারের চাবির ৷
এক সংবাদ সংস্থাকে শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য রামচন্দ্র দাস মহাপাত্র জানান, মন্দির কর্তৃপক্ষ বা পুরী ডিস্ট্রিক্ট ট্রেজারি কারও কাছেই এই চাবি নেই৷ এই ঘটনায় ওডিশা সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী৷ পাশাপাশি এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি৷
সাংবাদিকদের কাছে বিজেপির মুখপাত্র পিতাম্বর আচার্য জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে কিভাবে রত্নরত্নভাণ্ডারের চাবি হারিয়ে যেতে পারে, আর কে এর জন্য দায়ী৷ রাজ্য সরকার এই ইস্যুতে এখনও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়াতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি৷
Be the first to comment