পুরির মন্দির উন্মুক্ত হোক সবার জন্য। সুপ্রিমকোর্টের এই প্রস্তাবে তীব্র আপত্তি জানাল গোবর্ধন পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী ও পুরীর রাজা দিব্যসিংহ দেব। বিরোধিতা করেছে বিশ্বহিন্দু পরিষদও। শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী জানান, ‘সনাতন ধর্মের প্রাচীন প্রথা ভাঙার প্রস্তাব মেনে নেওয়া যায় না। এতে হিন্দু ধর্মের পবিত্রতা, শুচিতায় আঘাত লাগবে। তাছাড়া প্রভু জগন্নাথের সঙ্গে হিন্দুধর্মের মানুষের ভাবাবেগের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে।’ অন্যদিকে, পুরীর রাজা দিব্যসিংহ বলেন, রথযাত্রার সময় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি মন্দিরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় সব মানুষই দেবতার আশীর্বাদ পান। স্নান উৎসবের সময়ও লক্ষ লক্ষ মানুষ জগন্নাথের দর্শন পান। সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব অনেকটা অন্তর্বর্তী রায়ের মতো। রথযাত্রার পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁর মতে, “সনাতন ধর্ম ও শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের বিষয়ে গোবর্ধন পীঠের শঙ্করাচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আশা করি আদালতও সেটা মানবে। যদি ধরে নেওয়াও হয়, শঙ্করাচার্য বলেন সব ধর্মের মানুষের মন্দিরে প্রবেশে সম্মতি দিলেন। তখন মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়টিও সরকারকে ভেবে দেখতে হবে।’ আরও একধাপ এগিয়ে বিশ্বহিন্দু পরিষদ। তাঁদের দাবি, পবিত্র মন্দির আর ধর্মশালা এক করে দেওয়া যাবে না। ফিরোজ গান্ধিকে বিয়ে করার জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে পুরীর মন্দিরে ঢুকতে দেয়নি সেই সময়কার মন্দির কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী শুনানি ৫ সেপ্টেম্বর। রায়ের প্রতিলিপি হাতে পেলে সেইমতো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে
Be the first to comment