মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম পূর্ণেন্দু বসু। তাঁর কাজে পরিশ্রম ও নিষ্ঠার পরিচয় তিনি বারবার দিয়েছেন। যে দফতরই তাঁকে দেওয়া হোক না কেন সদা হাস্যময় এই মানুষটি দায়িত্ব পালনে ত্রুটি রাখেন নি এতটুকু। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে এই মানুষটি সম্পর্কে এলাকাবাসীর বক্তব্য তাঁকে যখন ডাকি, তখন পাই।
বামপন্থী রাজনৈতিক ঘরানায় বেড়ে উঠেছেন পূর্ণেন্দুবাবু। ৭০-এর উত্তাল সময়ে সক্রিয় রাজনীতির শরিক। সুতরাং মানুষের বাড়িতে থাকা, তাঁদের সুখ-দুঃখের কথা শোনার অভ্যেস আছে যথেষ্ট। আড্ডা দিতে ও মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পটু এই মানুষটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোষিত, অবহেলিত, নিপীড়িত, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানো দেখে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সিঙ্গুর আন্দোলনে জননেত্রীর লাগাতার কর্মসূচীর শরিক হন। বোঝেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাংলার বুকে আনতে পারবেন নতুন মুক্তিসূর্য। তারপরের ঘটনা ইতিহাস। বিচক্ষণ এই মানুষটি জননেত্রীর নির্দেশ সবসময় পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে।
“দিদিকে বলো” কর্মসূচী ঘোষণা করার পরই এলাকার মানুষের বাড়িবাড়ি যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন পূর্ণেন্দুবাবু। এ যেন তাঁর কাছে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা। সাধারন মানুষও তাঁকে দুহাত ভরে দিচ্ছেন ভালোবাসা। যেন ষোলো আনা পরিপূর্ণ হচ্ছে।
দেখুন ছবি-
Be the first to comment