জেলা জুড়ে অজস্র পিকনিক স্পট। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে বিভিন্ন স্পট। জোরালো ডিজে মিউজিক, থার্মোকলের থালা, গ্লাস, যত্রতত্র আবর্জনায় ভরতি হয়ে ওঠে জায়গা। এবার পিকনিক স্পটগুলিকে আবর্জনামুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।
মুরুগুমা, বরন্তি, পুটিয়ারি জলাধার, কাঁসাই নদীর তীর, জয়চন্ডি,বাঘমুন্ডি থেকে অযোধ্যা পাহাড় চোখ জুড়োনো পুরুলিয়া জুড়ে নানা পিকনিক স্পট। পাহাড়, জঙ্গল, নদী ঘেরা স্পটে বছরভর ভিড়। পিকনিকের ভিড় শুরু পঁচিশে ডিসেম্বর থেকে। ভজহরি মান্নাদের ভিড়ে তখন সরগরম পুরুলিয়ার বিভিন্ন পিকনিকস্পট।।
বাস্তবের ভজহরি মান্নারা রান্না করেন কি না ..জানা নেই…তবে পিকনিক পার্টির জ্বালায় জায়গায় জায়গায় জমে যায় আবর্জনার স্তূপ। মাটি খুঁড়ে উনুন তৈরি থেকে শুরু করে থার্মোকলের থালা,গ্লাস, বাটির পাহাড় জমে।। এর আগে পিকনিকে আসা লোকজনকে সচেতন করতে মাইকিং হত। কাজ হয়নি তাতে। প্রতিবছর একটু একটু করে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।। এবার পিকনিকস্পটগুলিকে আবর্জনামুক্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
এবার আর থার্মোকল বা প্লাস্টিক নয়। পিকনিকে কাগজ বা শালপাতা কিংবা মাটির থালা , বাটি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এই সব জিনিস বিক্রি করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। থাকছে পরিবেশবান্ধব ডাস্টবিনও। ডিজে মিউজিকেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।
পিকনিকস্পটগুলিতে থাকবে বিশেষ নজরদারি দল। জেলার একশো সত্তরটি পঞ্চায়েত ও কুড়িটি ব্লকের বিডিওদের সতর্ক করা হয়েছে। বেনিয়ম দেখলেই শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
Be the first to comment