নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা, তাও ভোটে অশান্তি, প্রশ্নের মুখে কমিশন

Spread the love

দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ৯টি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯টি , বাঁকুড়ার ৮টি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪টি বিধানসভায় নির্বাচন হচ্ছে। তবে ৩০টি বিধানসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে। শুধু নন্দীগ্রামের মোতায়েন করা হয়েছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু নন্দীগ্রামে এতো কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার পর কী করে অশান্তি নন্দীগ্রামে হচ্ছে তার জন্য রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

তবে নন্দীগ্রামকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারির পর কী ভাবে বুধবার রাতে সোনাচূড়ায় ব্যাগ ভর্তি বোমা সহ বিজেপি কর্মী ধরা পড়লেন? কী ভাবে কেশপুরের দাদপুরে তৃণমূল কর্মী উত্তম দোলুইকে কুপিয়ে খুন করা হল? বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে তৃণমূল কার্যালয়ে উত্তম দোলুই রাতের খাওয়াদাওয়ার পর তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে ১০/১১জনের একটি দল এসে উত্তমকে টেনে নিয়ে ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।

বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। কী করে সবংয়ে তৃণমূল বিজেপির হাতে আক্রান্ত হলো ? নন্দীগ্রামের ১৪, ২৪৮, ১০৫, ১৩০ নম্বর বুথে বীজে[পি তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ? এই ঘটনা নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। অথচ কমিশন নন্দীগ্রামে নিঘ্ত পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। সেনা বাহিনী দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রামকে। প্রশ্ন তাহলে কমিশনের ভূমিকাটা কী? কমিশন তো বলেছিলো প্রথম দফার পর যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার ব্যবস্থা করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতি কী কোথাও লংঘিত হচ্ছে? প্রশ্ন সেটাই।
১৪৪ ধারা জারি করে, নজিরবিহীনভাবে নন্দীগ্রামে ভোট হচ্ছে। তার পরও বুধবার রাতভর কী ভাবে বোমাবাজি, বাইক মিছিল চলতে পারে? প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়েও। কেননা নির্বাচন কমিশনের তরফে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ওয়েবক্যামে মুড়ে ফেলা হয়েছে পুরো নন্দীগ্রাম। কোনও ঘটনা ঘটা মাত্রই সেই ভিডিও ফুটেজ কমিশনে পৌঁছে যাচ্ছে । তার পরও কী করে এই সব ঘটনা ঘটছে?

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*