বুধবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে আনলক-২ পর্ব। এই পর্বে আরও বেশ কিছু ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য। কী কী বাড়তি ছাড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ট্যুইট করে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
করোনা সতর্কতায় লকডাউন ঘোষণা হতেই মার্চের শেষ থেকে বন্ধ রবীন্দ্র সরোবর। সেখানে নিয়মিত প্রাতর্ভ্রমণে আসা নাগরিকদেরও হাঁটায় ভাটা পড়েছিল। সব মিলিয়ে, হাঁটা বন্ধ থাকায় শারীরিক সমস্যা বাড়ছিল। তাই বিকল্প জায়গা হিসেবে তাঁদের অনেকেই বেছে নিয়েছেন সরোবর সংলগ্ন বরজ রোড এবং সাদার্ন অ্যাভিনিউ। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকদের নজর পড়েছে সুভাষ সরোবর সংলগ্ন রাস্তাতেও।
আনলক ২-এর প্রথমেই প্রাতর্ভ্রমণকারীদের সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জুলাই থেকে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ছাড় থাকবে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে হাঁটার ক্ষেত্রে। তবে দূরত্ববিধি মেনে, মাস্ক, গ্লাভস বা টুপি পরে প্রাতর্ভ্রমণ করতে হবে। এটা একেবারেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা কি বাড়বে? যদিও প্রাতর্ভ্রমণকারীদের মত, স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন তো সকলে। সুতরাং মাস্ক পরা এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকার কথা নয়। স্বাস্থ্য-বিধি মেনে হাঁটায় আপত্তি নেই চিকিৎসকদেরও।
তাঁদের বক্তব্য, শারীরচর্চা এবং হাঁটা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। এ বার তাই দূরত্ব-বিধি মেনে, মাস্ক-গ্লাভস পরে এবং অবশ্যই পকেটে স্যানিটাইজার নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের হিসেব বলছে, অন্য সময়ে রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে সারা সকালে প্রায় দশ হাজার প্রাতর্ভ্রমণকারী আসেন। বিকেলে আসেন প্রায় আট হাজার। সুভাষ সরোবরে সকালে সেই সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার, বিকেলে দুহাজারের মতো। সরোবর প্রেমীদের সংগঠন লেক লাভার্স ফোরাম সূত্রে খবর, দূর থেকে যাঁরা সরোবরে আসতেন, লকডাউনে তাঁদের আসা বন্ধ হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারাও আসা বন্ধ করেছিলেন। এখন কিন্তু স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম সংখ্যক হলেও স্থানীয়দের একটি অংশ সংলগ্ন রাস্তা বেছে নিয়েছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, আনলক ২-এ মৃতের শেষকৃত্য ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ৫০ জন পর্যন্ত আমন্ত্রণ করা যাবে। বিয়েবাড়িতে ৫০ জন পর্যন্ত আমন্ত্রণ করা যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আরও কাউকে নিমন্ত্রণ করতে হলে হোম ডেলিভারিতে খাবার পাঠাতে পারেন। চ্যাংড়াবান্ধা বাণিজ্যিক সীমান্তও খোলা হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে।
Be the first to comment