আবারও শহরে রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। দাদার মৃতদেহের সঙ্গেই এক সপ্তাহেরও বেশি সময় কাটালেন এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে দমদম এলাকায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পাড়ার মধ্যেই দুর্গন্ধ আসাতে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই খবর দেয় পুলিশকে। জোর করে ঢোকা হয় বাড়ির মধ্যে। আর বাড়ি ঢুকেই আঁতকে ওঠেন সকলে। দেখা যায় ঘরে ভাইয়ের বিকৃত দেহের কাছে বসে আছেন পূর্ণিমা দেবী। তার বয়স ৫৬-এর আশেপাশে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃত বৈদ্যনাথ চ্যটার্জীর দেহ দোতলায় একটি বিছানার ওপর শোয়ানো ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হার্ট অ্যাটাকের ফলেই মৃত্যু বৈদ্যনাথ বাবুর। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য মাস দুই আগেই এই দমদমেই ঘটেছিল একই ধরণের ঘটনা। সেবার দিদির মৃতদেহ আগলে বসেছিল তাঁর ভাই। একই রকম ভাবে পচা গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে উদ্ধার হল মহিলার বিকৃত দেহ। সেবারও কমপক্ষে চারদিন দিদির মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে যে ঘটনায় সবচেয়ে বেশি শোরগোল পড়েছিল তা হল রবিনসন স্ট্রীটের ক্ষেত্রে। ২০১৫-এর ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল সকলকে। মাসের পর মাস প্রিয় দিদি ও দুই পোষা কুকুরের কঙ্কালের সঙ্গে দিন কাটিয়েছিলেন পার্থ দে নামে মধ্য চল্লিশের এক যুবক।
মনোবিদেরা বলছেন, এটা এক ধরনের মানসিক অসুখ, যেখানে কোনও ভ্রান্ত ধারণাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চান অনেকে। মনস্তত্ত্ববিদদের একাংশের মতে, এক অস্বাভাবিক একাত্মতাবোধ থেকেও এমনটা হতে পারে।
Be the first to comment