যুদ্ধবিমান রাফাল কেনার সময় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল ভারতে ৷ পরে তা খারিজও হয়ে যায় ৷ এবার ফ্রান্সে এই নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হতে চলেছে ৷ এমনই জানিয়েছে দ্য ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল প্রসিকিউটর’স অফিস বা পিএনএফ ৷ তারা জানিয়েছে, যে এই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব একজন বিচারককে দেওয়া হয়েছে ৷ ২০১৬ সালে ফ্রান্স ভারতকে যে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান বিক্রি করেছিল, তা নিয়েই ওই তদন্ত হবে ৷
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাফাল দুর্নীতির অভিযোগ অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে উঠেছিল ৷ ক্ষমতাসীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল কংগ্রেস ৷ তাদের দাবি ছিল, ইউপিএ আমলে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড বা হ্যালের মাধ্যমে ১২৬টি রাফাল কেনার চুক্তি হয়েছিল ৷ সেই চুক্তি বাতিল করে ৭.৮ বিলিয়ন ইউরোর একটি চুক্তি করে এনডিএ সরকার ৷ যে চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে ৷
এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ৷ তিনি এই ঘটনায় যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করেছিলেন ৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, কোনও মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় এই কাজ হয়েছে ৷ অনিল আম্বানীকে এই চুক্তি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
চলতি বছরের এপ্রিলে ফরাসি মিডিয়ায় এই নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় ৷ সেখানে দাবি করা হয় যে এই যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক ১.১ মিলিয়ন ইউরো কোনও এক মধ্যস্থকারীকে দিয়েছে ৷ ফ্রান্সের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা এএফএ তাদের তদন্তে এই বিষয়টি জানতে পেরেছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ৷ রাফাল যুদ্ধবিমানের নির্মাণকারী সংস্থা দাঁসো ৷ তাদের কাছে ওই পরিমাণ অর্থ কোনও গ্রাহককে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেখান থেকেই এই দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হতে থাকে ৷ তবে ওই অভিযোগ তখনই অস্বীকার করে দিয়েছিল দাঁসো ৷
প্রসঙ্গত, ভারতে রাফাল তৈরির জন্য চুক্তি হয়েছিল দাঁসো অ্যাভিয়েশন এবং রিলায়েন্স গ্রুপ ৷ এর জন্য তাঁরা দাঁসো রিলায়েন্স এরোস্পেস লিমিটেড নামে একটি সংস্থা তৈরি করেছে ২০১৭ সালে ৷ নাগপুরে ওই কারখানা তৈরি হয়েছে ৷ ২০১৮ সাল থেকে সেখানে ফ্যালকনের যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে ৷
Be the first to comment