প্রতিবারই প্রতিবেশী চিনকে মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারত। তবে তাতেও শিক্ষা নেই। অনুপ্রবেশের ক্রমাগত চেষ্টা চালাচ্ছে চিনা লাল ফৌজ। গত ৯ ডিসেম্বরই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তারা। এই ঘটনার পর থেকেই তাওয়াং সেক্টর এবং তার আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। স্থলবাহিনীর পাশাপাশি আকাশপথেও ভারতীয় সেনার কড়া পাহাড়া চলছে। তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সীমান্ত এলাকার উপর দিয়ে এখন চক্কর কাটছে বায়ুসেনার বিমান।
তাওয়াংয়ে চিনা লাল ফৌজ যাতে কোনওভাবে নতুন করে বিপত্তি না বাধাতে পারে সেজন্য সচেষ্ট ভারত। তাওয়াংয়ে চিন লাগোয়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মোতায়েন করা হয়েছে একাধিক যুদ্ধবিমান।নতুন করে সেখানে বাড়ানো হয়েছে বায়ুসেনার বিমানও। অসমের তেজপুর, ছাবুয়াতেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে সুখোই-৩০ বিমান। বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে উত্তরবঙ্গের হাসিমারাও। কারণ এখানে বায়ুসেনার ঘাঁটি রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারতীয় বায়ুসেনা যুদ্ধবিমানগুলির কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা যাচাই করার জন্য দুইদিনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে। হাসিমারায় বর্তমানে ১৮টি যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আম্বালায় বায়ুসেনার ঘাঁটিতেও ১৮টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই, সীমান্তে চিনের অনেক যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। সিগাৎসে বিমানবন্দরে বিপুল সংখ্যক যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রেখেছে।পাশাপাশি আকাশপথেও ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে রাফাল, সুখোইয়ের মতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে।
সেনা সূত্রের খবর, ইস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডেক অধীনে ভারতীয় বায়ুসেনার আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মহড়া হবে। এই মহড়ায় বায়ুসেনার যাবতীয় শক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হবে। মহড়ায় অংশ নেবে রাফাল, তেজস, সুখোই যুদ্ধবিমান।তাওৎাং-এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের হাসিমারা, অসমের তেজপুর, ছাবুয়া, জোরহাট ও পানাগড়ে মহড়া চলবে।
Be the first to comment