আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডার সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না। কিছুদিন আগেই তাঁর কাছে ইডির সমন যাওয়া নিয়ে খবর ছড়ায়। তিনি অবশ্য সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে এনগেজমেন্টের কিছু সময় পরেই। এবার রাজ্যসভা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড হতে হল তাঁকে। কী অভিযোগ? জানা যাচ্ছে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল সংক্রান্ত প্রস্তাব রাজ্যসভায় পেশ করার সময় ৪ সাংসদের সই জাল করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আপ নেতার বিরুদ্ধে। অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁকে নির্বাসিত করেছেন রাজ্যসভার চেয়্যারম্যান জগদীপ ধনকড়। বারবার বিরোধীদের এভাবে সাসপেন্ড করার ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও। পরপর সাংসদের সাসপেন্ডের প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, পরপর সাংসদদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। ভিন্নমতকে চুপ করানো হচ্ছে। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন গণতন্ত্রের উপর এই সমস্ত আক্রমণ করে INDIA-কে দমানো যাবে না।
গতকাল লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, অহেতুকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে অধীর চৌধুরীকে। কিন্তু অনেক সংসদীয় কমিটির সদস্য তিনি। সাসপেন্ড হওয়ায় অধীর এই কমিটিতে কাজ করতে পারবেন না। এটা ঠিক নয়। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের গণতন্ত্র বজায় রাখা উচিত। গত ৭ অগস্ট রাজ্যসভার চার জন সাংসদ সস্মিত পাত্র, এস ফ্যাংনন কোন্যাক, এম থাম্বিদুরাই ও নরহরি আমিন অভিযোগ করেছিলেন রাঘব চাড্ডা তাঁদের সই জাল করেছেন। বুধবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সেই অভিযোগগুলি স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেন। ধনকড় বলেন, স্বাধিকার রক্ষা কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রাঘব চাড্ডা রাজ্যসভা থেকে নির্বাসিত থাকবেন। পাশাপাশি আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের সাসপেনশনের মেয়াদও বাড়িয়ে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। গত ২৪ জুলাই সঞ্জয়কে নির্বাসিত করা হয়েছিল। আজ জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার রক্ষা কমিটির তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি সাসপেন্ড থাকবেন।
Be the first to comment