প্রতীকী ছবি,
সেই ফাল্গুন মাসে বাড়ি ছেড়েছিল ছেলে। ভয়ঙ্কর অভাবের সংসারে হাল ফেরাতে। কিন্তু তারই যে জীবনে নেমে আসবে এমন দুর্বিপাক, ভাবতে পারেননি পরিবারের কেউ। গত কয়েক মাস ধরে নির্ঘুম রাত কাটানোর পর অবশেষে স্বস্তি। আজ ঘরে ফিরছে বাড়ির বড় ছেলে শেখ রহিম আলি।
হুগলির পাণ্ডুয়ার জায়ের গ্রামে বাড়ি শেখ আসগর আলির। তারই বড় ছেলে বছর ২০র রহিম আলি। শেখ আসগর আলি জানান, গ্রামে তেমন কোনও কাজ নেই। ঘরে নিত্য অভাব। তাই সোনার কাজ জানা ছেলে গিয়েছিল ইরানে। আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। প্রথম কয়েক মাস বেতন মেলায় বাড়িতে টাকা পাঠাতে পেরেছিল। কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হয় ঝঞ্ঝাট। ছেলে জানায়,যে সংস্থার হয়ে কাজে গিয়েছিল তা বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর বেশ কিছুদিন ছেলের খোঁজ পাননি তারা। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কারও পোস্ট করা ছবিতে জানতে পারেন, সে দেশে চূড়ান্ত কষ্টের মধ্যে রয়েছে ছেলে। খাবার দেওয়া হচ্ছে না। কেড়ে নেওয়া হয়েছে পাসপোর্টও। তাই দেশেও ফিরতে পারছে না তাঁরা।
গ্রামের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই এরপর কলকাতায় গিয়ে বিদেশমন্ত্রকে যোগোযোগ করেন রহিম আলির পরিবার। তারপর থেকেই চলছে অপেক্ষার পালা। আজ সকালেই আরও দশ জনের সঙ্গে তাঁদের ছেলেও কলকাতায় ফিরেছেন বলে জানতে পেরেছেন রহিম আলির পরিবার। এখন অপেক্ষা ছেলেকে চোখের দেখা দেখার।
Be the first to comment