বুধবার রাফাল নিয়ে কংগ্রেস ফাঁস করলো একটি অডিও টেপ ৷ সেই অডিও টেপ-এ শোনা যাচ্ছে, গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিত্ রানে কোনও এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে বলছেন, ‘সব রাফাল ফাইল মনোহর পারিক্করের কাছে রয়েছে৷’ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী কয়েক দিন আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দাবি করেন, রাফাল নিয়ে সব নথি তার ফ্ল্যাটে, বেডরুমে রয়েছে। টেপটি প্রকাশ্যে এনেই বুধবার কংগ্রেস দাবি করে, রাফাল চুক্তির সব ফাইল যদি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর বেডরুমেই থাকে, তা হলে কেন মোদি সরকার একটি যৌথ সংসদীয় কমিটিকে তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে না? এ দিন লোকসভা অধিবেশন শুরু আগে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূরযেওয়ালা ওই টেপ-টি প্রকাশ্যে আনেন ৷
আর তারপরই রাফাল ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন সংসদে রাহুল বলেন, হ্যালকে বাদ দিয়ে কেন অনিল অম্বানিকে রাফালের বরাত দেওয়া হলো? গোটা দেশ রাফালে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। কেন যুদ্ধ বিমানের সংখ্যা কমানো হলো? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাহুল। কেন ভারতে বানানো হবে না রাফাল? কেন দাম ৫২৬ থেকে ১৬০০ কোটি হলো এদিন তা জানতে চান কংগ্রেস সভাপতি। পাশাপাশি এদিন অনিল আম্বানিকে ব্যর্থ শিল্পপতি বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি রাহুল। আর রাহুলের মন্তব্যের পর রাহুলকে কটাক্ষ করতে পিছপা হননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি।
বিরোধীদের দাবি, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্নীতি করেছে মোদি সরকার ৷ ফ্রান্সের সংস্থার থেকে মোদি সরকারের ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট গত ১৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রকে ক্লিনচিট দেয় ৷ লোকসভা ভোটের আগে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনেকটাই স্বস্তি দেয় বিজেপি-কে ৷ ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় ৫৯,০০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে সরব বিরোধীরা।
গত ১৪ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রাফাল চুক্তি নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন নেই। এই চুক্তিতে আর্থিক দুর্নীতি হয়নি। ১২৬-এর জায়গায় ৩৬টি বিমান কেনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা একেবারেই অনুচিত ৷
Be the first to comment