কর্ণাটক বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত বাজার আগেই এমএলএ, স্পীকাররা উঠে চলে যান। বিজেপি ও আরএসএস কোনও প্রতিষ্ঠানকেই সম্মান দেয় না। তবে শনিবার কংগ্রেস সভাপতি জোর গলায় বলেন, মানুষের ক্ষমতাকে পয়সা দিয়ে কেনা যায় না। বিজেপি ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই বোঝেনা।
এছাড়াও মোদীকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভ্রষ্টাচারকে প্রশ্রয় দেন। কর্ণাটকে গণতন্ত্রের উপর যে আঘাত এসেছিলো, তাকে রুখে দেওয়া গেছে। পাশাপাশি রাহুল আর বলেন, বিজেপি ও আরএসএসকে আমরা রুখবো এবং জনতার আওয়াজকে আমরা রক্ষা করবো। প্রধানমন্ত্রী তো কাউকেই মানেন না, সম্মান দেন না সুপ্রিম কোর্ট, লোকসভা, বিধানসভা এমনকি সাংবাদিকদেরও। আসলে আরএসএস-এর ট্রেনিংটাই হলো এমন যে কাউকে সম্মান না দেওয়া।
বিজেপির যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকতো, তাহলে আমরা তাদেরকেই সরকার বানাতে দিতাম। কর্ণাটকে জনতার আওয়াজকে রক্ষা করলাম, সব রাজ্যেই তা করবো। পাশাপাশি রাহুল বলেন সব বিরোধী দল জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে হারাবো। এদিন রাহুল মোদীকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নন, তিনি একজন স্বৈরাচারী। তাঁর কর্মপদ্ধতিও সেইরকম। যা তিনি বারবারই হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন। আরএসএস-এর দর্শন হলো রাজ্যের শাসন, আইন, বিচার সবকিছুকেই কন্ট্রোল করা। রাজ্যপালেরও কোনোরকম ক্ষমতা নেই, তাঁকেও কন্ট্রোল করে আরএসএস। এরপরই কংগ্রেস সভাপতি বলেন আমি এই দেশের মানুষদের জন্য গর্ব অনুভব করি। তাঁরা ক্ষমতা, অর্থ ও দুর্নীতিকে হারিয়ে দেয় বারবার। আবার কর্ণাটকেও তাই হলো। প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রার্থী কেনাবেচার কাজে যুক্ত ছিলেন। দিল্লিতে বসে এসবই চলছিলো। এদিন কর্ণাটকের জনগণ, কংগ্রেস ও জেডিএসের সব বিধায়কদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেন নি রাহুল।
Be the first to comment