মঙ্গলবার দুপুরে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, যতদিন সারা দেশের কৃষকদের ঋণ মকুব করা হচ্ছে, ততদিন আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঘুমোতে দেব না। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার জবাব দিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, ওই ধরনের মন্তব্য করে রাহুল নিচু মনের পরিচয় দিয়েছেন। একসময় তাঁদের দল নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম করে সারা দেশের লোককেই ঘুমোতে দেয়নি।
তাঁর কথায়, রাহুল এমন এক দলের সভাপতি যাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য একসময় সারা দেশের লোক ঘুমোতে পারেনি। তাঁর থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
এদিন রাফায়েল চুক্তি নিয়ে সংসদের দুই কক্ষে ব্যাপক হইচই হয়। উভয় কক্ষই মুলতবি হয়ে যায় দীর্ঘক্ষণের জন্য। এই প্রসঙ্গে রবিশংকর প্রসাদ বলেন, কংগ্রেস রাফায়েল নিয়ে বিতর্ক চালাতে ভয় পাচ্ছে। সেজন্য তারা সংসদের অধিবেশন চলতে দিচ্ছে না।
তাঁর মন্তব্য, আমরা চাই রাফায়েল চুক্তি নিয়ে আলোচনা হোক। কংগ্রেস পালিয়ে যাচ্ছে কেন? পালানোর দরকার কী? আমি জানি কেন কংগ্রেস বিতর্কে যোগ না দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তারা বুঝেছে, বিতর্ক হলে কংগ্রেসের অনেক গোপন কথা জানাজানি হয়ে যাবে। রাফায়েল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কংগ্রেস যে কথাটা হজম করতে পারছে না, তা হল, দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, ওই চুক্তিতে কোথাও অনিয়ম হয়নি।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে তিন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার পরে এদিন দিল্লিতে ফেরেন রাহুল। তারপরেই তিনি আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস যে তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে, তার মধ্যে দু’টিতে ইতিমধ্যে কৃষকদের ঋণ মকুব করা হয়েছে। আরও একটিতে মকুব করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু মোদীজি চার বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও চাষিদের এক পয়সা ঋণ মকুব করেননি।
কংগ্রেসকে প্রকৃত গরিবের পার্টি বলে দাবি করেন রাহুল। তাঁর কথা, একদিকে দেশের চাষি, মজুর, ছোট ব্যবসায়ী, অন্যদিকে ১৫-২০ জন শিল্পপতি। কংগ্রেসের জয় মানে চাষি, মজুর ও ছোট ব্যবসায়ীদের জয়। অন্যদিকে মোদীজি ধনী ব্যবসায়ীদের কর ছাড় দিয়েছেন।
রবিশংকর প্রসাদ এই প্রসঙ্গে বলেন, বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদীর মতো ব্যবসায়ী কংগ্রেসের রাজত্বেই নানা সুবিধা পেয়েছিলেন। রাহুল সেকথা না ভুললেই ভালো করবেন।
Be the first to comment