
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- লোকসভায় কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে। কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলতে গেলেই পালিয়ে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ। সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাহুল।
বুধবার সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধি বলেন, ‘সংসদে বিরোধী দলনেতাকে কথা বলতে দেওয়ার একটা প্রচলিত রীতি আছে। আমাকে কথা বলতে দেওয়ার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি (অধ্যক্ষ) পালিয়ে গেলেন। এভাবে সংসদ চালানো যায় না। অধ্যক্ষ হঠাৎ চলে গেলেন এবং তিনি আমাকে কথা বলতে দিলেন না। তিনি আমার সম্পর্কে ভিত্তিহীন কিছু অভিযোগ করলেন। এরপরই সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব রেখে দিলেন তিনি।’ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ‘অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে’ সংসদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন রায়বরেলির কংগ্রেস সাংসদ।
সম্প্রতি মহাকুম্ভ নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনও বেকারত্ব নিয়ে বলতে চেয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু অধ্যক্ষ তাঁকে বলার অনুমতি দেননি বলে অভিযোগ। লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কুম্ভমেলা নিয়ে কথা বলেছিলেন। আমিও সেদিন বেকারত্ব নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ এরপরই একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাহুল বলেন, ‘গত ৭-৮ দিন ধরে আমাকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সংসদে বিরোধী দলের কোনও জায়গা নেই। শুধু সরকারেরই জায়গা আছে।’
বিরোধী দলনেতার তোলার অভিযোগ নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা পালটা কোনও মন্তব্য করেননি। তবে সভার কার্যবিবরণী চলাকালীন তিনি রাহুল গান্ধিকে সংসদের মর্যাদা রক্ষার জন্য নিয়ম মেনে চলতে বলেন। অধ্যক্ষ বলেন, ‘এই সংসদে, বাবা-মেয়ে, মা-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী সদস্য ছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে, আমি আশা করি বিরোধী দলনেতা ৩৪৯ নম্বর বিধি অনুসারে আচরণ করবেন, যেখানে সদস্যদের দ্বারা পালন নিয়ম সম্পর্কে বলা রয়েছে।’
এদিকে, রাহুল অভিযোগ তোলার পর গৌরব গগৈ, কেসি ভেনুগোপাল সহ ৭০ জন কংগ্রেস সাংসদ লোকসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। রাহুলকে কেন সংসদে বলতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বছর জুন মাসেও রাহুল অভিযোগ করেছিলেন যে নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি লোকসভায় তুলতেই তাঁর মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও অধ্যক্ষ সেই সময় পালটা জানিয়েছিলেন, তিনি সাংসদদের মাইক্রোফোন বন্ধ করেন না এবং তাঁর এতে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
Be the first to comment