‘তৃণমূলকে তো ঢুকতে দেওয়া হয়েছে…’, লখিমপুর নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রাহুল গান্ধীর

Spread the love

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পর লখিমপুরে যেতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। তবে যোগী প্রশআসনের তরফে তাঁকে লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবুও হার মানতে নারাজ রাহুল। বুধবার সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী তোপ দাগেন বিজেপি সরকারকে। তিনি অভিযোগ করেন, কৃষকদের ময়নাতদন্ত ঠিক করে হয়নি। পাশাপাশি এই ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হামলা’ বলে আখ্যা দেন কংগ্রেস সাংসদ। রাহুলের অভিযোগ, ‘কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর ছেলের নাম সামনে এসেছে এই ঘটনায়। এভাবে কৃষকদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হচ্ছে।’

রাহুল এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দেগে বলেন, ‘গতকাল লখনউতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু লখিমপুরে যেতে পারলেন না তিনি। দেশে এরকম ভাবেই স্বৈরতন্ত্র চলছে। উত্তরপ্রদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না রাজনৈতিক নেতাদের। গতকাল আমাদের বলা হয় যে আমরা সেখানে যেতে পারব না। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীকেও কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। কেন? কারণ সেখানে ভয়ঙ্কর লুঠ চলছে। এভাবে বাধা দিয়ে দেশের কন্ঠ রোধ করা হচ্ছে।’

এদিকে ময়নাতদন্ত নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, মৃত কৃষকদের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত রক্তপাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে চার কৃষকের। তাদের শরীরে কোনও গুলির ক্ষত পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়। এই আবহে রাহুলের বক্তব্য, ‘আমি বাস্তব চিত্রটা বুঝতে সেখানে যেতে চাই। লখিমপুরে গেলেই সেখানেই পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব। বাকিদের তো বাধা দেওয়া হয়নি সেখানে যাওয়া থেকে। তৃণমূল কংগ্রেস ও ভীমদলকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে লখিমপুরে।’ রাহুল আরও বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণরূপে কৃষকদের ইস্যু। প্রিয়ঙ্কাকে আটক করা হোক বা আমাদের বাধা হোক, সেটা আলাদা প্রসঙ্গ।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*