পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে বেড়েই চলেছে জ্বালানি দাম। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গ্যাসের দামও। একই সঙ্গে চাকুরিজীবীদের ভরসা পিএফেও সুদের হার কমিয়েছে কেন্দ্র। মুদ্রাস্ফীতির জেরে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। এবার মুদ্রাস্ফীতি-বেকারত্ব ইস্যুতে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। কেন্দ্র মানুষের সমস্যার কথা জেনেও কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ করেন রাহুল।
টুইটে কংগ্রেস সাংসদ লিখেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব দেশের মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। জনগণের এসব সমস্যার উপর সরকারের উচিত বুলডোজার চালানো। কিন্তু বিজেপির বুলডোজারে বিদ্বেষ ও আতঙ্ক রয়েছে।’ বুলডোজারের কথা তুলে রাহুল স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ঘটনার দিকে। রামনবমীর মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করে ১৬টি বাড়ি এবং ২৯টি দোকান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।
সরাসরি এই ঘটনার উল্লেখ না করলেও রাহুলের ইঙ্গিত ওই ঘটনার দিকেই। সেকারণেই কংগ্রেস সাংসদ লিখেছেন, ‘বিজেপির বুলডোজারে বিদ্বেষ ও আতঙ্ক রয়েছে।’ একই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও তোপ দেগেছেন রাহুল। সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এখন খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৬.০৭ শতাংশ, পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ১৩.১১ শতাংশ। রাহুলের অভিযোগ, সরকারের ভুল নীতির ফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ। কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপই করছে না।
মাসখানেও আগেও মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। টুইটে কংগ্রেস সাংসদ লিখেছিলেন, ‘সরকারের ভুল নীতির ফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ। ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার ৫.১ শতাংশ, পিপিএফে ৭.১ শতাংশ, ইপিএফে ৮.১ শতাংশ। খুচরো মূল্যস্ফীতি ৬.০৭ শতাংশ, পাইকারি মূল্যস্ফীতি ১৩.১১ শতাংশ। জনগণকে সামান্য স্বস্তি দেওয়া কি সরকারের দায়িত্ব নয়?’
Be the first to comment