মঙ্গলবার ভোটের ফল বেরতে শুরু করার পরেই কংগ্রেসকর্মীরা শুরু করলেন হোম। একেবারে দলের সভাপতি রাহুল গান্ধীর বাড়ির সামনে শুরু হল যাগযজ্ঞ। সেখানে সাজানো হয়েছে রাহুল, তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী ও দিদি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ছবি। তার সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা কমল নাথ এবং রাজস্থানের নেতা শচীন পাইলটের ছবিও আছে।
ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার শুরু থেকেই যে ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যায়, খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে চলেছে কংগ্রেস। তার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে মূলত রাহুল গান্ধীকে। কারণ পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের মূল সেনাপতি ছিলেন তিনি। বিজেপি থেকে বরাবর বলা হয়েছে রাহুল ‘অপরিণত’। তিনি এখনও নেতা হওয়ার যোগ্য নন। কিন্তু এবারের ভোটে সম্ভবত সোনিয়াপুত্রের সেই দুর্নাম কাটতে চলেছে।
একইসঙ্গে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিরোধী জোটের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবেও উঠে আসছে রাহুলের নাম। ধরে নেওয়া হয়েছিল, রাহুলের প্রচারে যদি পাঁচ রাজ্যে ফল ভালো হয়, তাহলে তাঁকে বিরোধী শিবিরের নেতা বলে মেনে নেওয়া হবে। যদি না হয়, তাহলে বিরোধী জোটে গুরুত্ব পাবে আঞ্চলিক দলগুলি। তাদের নেতাদের মধ্যে থেকে কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলে ধরে নেওয়া হবে।
ভোটের ফল প্রকাশিত হতে শুরু করার কিছু পরেই দেখা যাচ্ছে, রাজস্থান, ছত্তিসগড়ে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। তেলঙ্গানায় গরিষ্ঠতা পাচ্ছে টিআরএস। মিজোরামে এগিয়ে আছে এমএনএফ।
গত শুক্রবার একজিট পোলের ফলে দেখা গিয়েছিল, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ও বিজেপির জোর লড়াই হবে। রাজস্থানে জিতবে কংগ্রেস। এর পরেই প্রতিটি দল নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে থাকে। সোমবার বিজেপি তেলঙ্গানায় টিআরএসের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদ্যোগ নেয়।
এরপর কংগ্রেসকেও অন্যান্য দলের সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে। বিএসপি-র মায়াবতীর সঙ্গেও জোট করার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু মায়াবতী জোট করবেন কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ তিনি ভোটের আগে ঘোষণা করেছিলেন, বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েই দলিতদের বিরোধী।
অবশ্য কয়েকমাস আগেই কর্ণাটকে বিধানসভায় ভোটের পরেই কংগ্রেস জোট করেছিল জনতা দল সেকুলারের সঙ্গে। একই ফর্মুলা মেনে আগামী দিনেও দেশের কয়েকটি রাজ্যে সরকার গড়তে পারে দেশের প্রাচীনতম দল।
Be the first to comment