“কৃষিঋণ মকুব না করা পর্যন্ত আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ঘুমোতে দেব না।” আজ দিল্লিকে একথা বলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। গতকাল মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই কৃষিঋণ মকুবের ফাইলে সই করেন কমলনাথ। ক্ষমতায় এলে কৃষি ঋণ মকুব করা হবে। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই মধ্যপ্রদেশে প্রচার চালিয়েছিল কংগ্রেস। সাফল্য এসেছে। সেখানে ক্ষমতায় এসেছে তারা।
আর তারপরই দিন গোনা শুরু করে দিয়েছিলেন অনেকে। একদিকে কৃষকরা অপেক্ষায় ছিলেন কবে তাঁদের ঋণ মকুব হবে। আবার ঋণ মকুব না করলেই এই ইশুকে হাতিয়ার করে নতুন সরকারকে আক্রমণের অপেক্ষায় ছিল BJP। কিন্তু, তা হতে দিলেন না কমলনাথ। শপথ নেওয়ার পরই সই করলেন কৃষি ঋণ মকুবের ফাইলে। ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে ১০ দিনের মধ্যেই ছত্তিশগড়ে কৃষিঋণ মকুব করা হবে। পাশপাশি, কুইন্টাল প্রতি ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ১,৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,৫০০ টাকা করা হবে। শপথ নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ঘোষণা করেছেন ছত্তিশগড়ের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। এরপর আজ কৃষি ঝণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধি।
রাহুল বলেন, “আমরা কৃষি ঋণ মকুব না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে ঘুমোতে দেব না। সব বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধভাবে এই দাবি করবে। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের এক টাকাও মকুব করেননি।” তিনি আরও বলেন, “রাফাল, কৃষিঋণ মকুব, নোটবাতিলের মতো ভুলগুলি নিয়ে শীঘ্রই দেশজুড়ে প্রচার চালানো হবে। সাধারণ মানুষকে মিথ্যা বলা হয়েছে। কৃষক ও ছোটো ব্যবসায়ীদের লুট করা হচ্ছে। নোটবাতিল বিশ্বের বৃহত্তম দুর্নীতি।”
কৃষিঋণ নিয়ে বললেও সজ্জন কুমারের সাজা নিয়ে মন্তব্য এড়িয়েছেন রাহুল। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “শিখ বিরোধী হিংসা সম্পর্কে আগেই আমার অবস্থান খুব স্পষ্ট করে বলেছি। এই সাংবাদিক বৈঠকটি দেশের কৃষকদের সম্পর্কে হচ্ছে।”
Be the first to comment