সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে NEET ও JEE-র পরীক্ষা হবে বলে ঘোষণা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইস্যু হয়ে গেছে অ্যাডমিট কার্ডও। কেরিয়ারের কথা ভেবে অনেকেই রাজি পরীক্ষা দিতে। কিন্তু কোরোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে হবে পরীক্ষা? যা নিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্তিতে পড়ুয়ারা।
এদিকে, পরীক্ষা নেওয়া হলে তা আদতে পড়ুয়াদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হবে, তাই তারিখ পরিবর্তন বা বিকল্প পথে NEET বা JEE-র পরীক্ষা নেওয়া হোক বলে দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিলে বাড়তে পারে সংক্রমণও। তাই বিকল্প ব্যবস্থা করে পরীক্ষা না নিয়ে অন্য কোনও উপায়ে এর ব্যবস্থা করা হোক বলে দাবি জানিয়েছে AAP-ও।
এবার এই ইস্য্যুতেই কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধীর উপদেশ, সরকারের উচিত পড়ুয়াদের মন কি বাত শোনার । পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার। যাতে বিকল্প পথ বেরিয়ে আসে।
NEET ও JEE পরীক্ষা দ্রুত শেষ করার পক্ষে বার বার সওয়াল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এবিষয়ে আবেদনও জানায় পড়ুয়াদের একাংশ । যে আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কোরোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে । তার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত নষ্ট করা যাবে না । তাদের পরীক্ষার জন্য কী আরও একবছর অপেক্ষা করতে হবে ? এরপর এবিষয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানায় অভিভাবকদের একাংশ ।
পরীক্ষা পিছানোর আবেদন জানায় দিল্লি সরকারও। দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেন, NEET-JEE-র নামে কেন্দ্রীয় সরকার লাখ লাখ পড়ুয়ার জীবন নিয়ে খেলা করছে । আমি আবেদন জানাচ্ছি, পরীক্ষা দু’টিই বাতিল করে বিকল্প ব্যবস্থা করা হোক । এমন অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে অন্যরকম পদক্ষেপ করতেই হবে ।
যতদিন কোরোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন পরীক্ষা স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। চিঠিতে তিনি লেখেন, সশরীরে পরীক্ষা দিতে গেলে কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে এটা ভেবে ছাত্র-ছাত্রীরা মারাত্মক মানসিক চাপে পড়ে গেছে।
এদিকে আজ রাহুল গান্ধী এবিষয়ে টুইট করেন, আজ লাখ লাখ পড়ুয়া কিছু বলতে চায় । কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত পড়ুয়াদের মন কি বাত শোনা । তাদের সঙ্গে কথা বলে অন্য কোনও বিকল্প উপায় বের করা উচিত।
Be the first to comment