বাদল অধিবেশনে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। শ্রমমন্ত্রী অধিবেশনে জানান, পরিযায়ীদের মৃত্যু নিয়ে কোনও সরকারি নথি নেই। তারই পালটা আক্রমণ করেন রাহুল। তাঁর কটাক্ষ, আপনি হিসেব রাখেননি, তাই কারও মৃত্যু হয়নি?
লকডাউনে ফেরার সময় যেসব পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না সেই বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে লোকসভা অধিবেশনে । কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী জানান, পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে কোনও তথ্য নেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে৷ সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না ৷ কেন্দ্রের এই প্রতিক্রিয়ায় অধিবেশনের প্রথম দিনেই বিরোধীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন । একের পর এক প্রশ্ন-বাণে বিঁধতে থাকে কেন্দ্রকে।
অধিবেশনে এই পরিযায়ী-মৃত্যু বিতর্ক প্রকাশ্যে আসতেই সরব হন রাহুল । যদিও অধিবেশনে তিনি নেই । মায়ের রুটিন চেক-আপের জন্য অ্যামেরিকায় রয়েছেন । কিন্তু তাতেও নীরব থাকেননি । আজ সকালেই টুইটারে সরব হতে দেখা গেল তাঁকে । টুইটারে রাহুল কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে লেখেন, “মোদি সরকার জানে না লকডাউনে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে । কতজন চাকরি হারিয়েছেন। আপনি গোনেননি তাই কি মৃত্যু হয়নি ? হ্যাঁ তবে দুঃখের বিষয় এই যে, সরকারের উপর প্রভাব পড়েনি। বিশ্ব মৃত্যু দেখেছে। শুধু মোদি সরকারই দেখেনি।
দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর পরিযায়ী শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েন । এবং পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় বহু শ্রমিক হেঁটে বাড়ি ফিরতে চান । অনেকে ট্রাকে করে ফেরার চেষ্টা করেন । শিশু থেকে মায়ের মৃত্যুর সাক্ষী থাকে দেশ । মহারাষ্ট্রে একসঙ্গে প্রায় ১৭ জন শ্রমিককে পিষে দেয় ট্রেন। বহু শ্রমিক অভাবে আত্মহত্যা করেন । একটু খাবারের জন্য তাঁদের আপ্রাণ চেষ্টার প্রতিফলন দেখা যায় দিল্লির যমুনা নদীর তীরে ।
Be the first to comment