হাথরসে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হলেন রাহুল গান্ধী। এদিন প্রথমেই হাথরসে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার পথেই উত্তর প্রদেশ পুলিশ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে আটক করা হয়। কয়েক প্রস্থ লাগাতার ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জের পর এদিন রাহুল গান্ধিকে আটক করা হয়। রাহুলের সপাট প্রশ্ন, আমি কি অন্যায় করেছি? কোন আইনে আটক করা হচ্ছে আমায়?
রাহুল গান্ধী এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের গাড়ি আটকে দিয়েছে, তাই আমরা পায়ে হেঁটেই এগোচ্ছিলাম। এর মধ্যেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এ দেশে কি শুধু নরেন্দ্র মোদীই হাঁটবেন? সাধারণ মানুষের হাঁটারও অধিকার নেই?”
হাথরাস কাণ্ডে ফুঁসছে গোটা দেশ। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করে তদন্তের বিষয়ে জোর দিয়েছে। নানা আশ্বাসও দিয়েছে আদিত্যনাথ সরকার। কিন্তু তাতেও চিড়ে ভিজছে না। ইতিমধ্যেই আদিত্যনাথের ইস্তফা চেয়ে সরব সব পক্ষ। এই পরিস্থিতিতেই হাতরাসে মৃত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রওনা হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধী।
উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণ কাণ্ডের আঁচ এসে পড়েছে দেশের রাজধানীতেও। এদিন কংগ্রেস, বাম, ভীম রাও আর্মির সদস্যরা জোট বেধে প্রতিবাদ করেন নয়াদিল্লির উত্তরপ্রদেশ ভবন ও ইন্ডিয়া গেটের সামনে। সেখান থেকে ৩২ জন জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে তরুণীকে গণধর্ষণ তারপর খুন। মাঝ রাতে পোড়ানো হল মৃতদেহ। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় দেশজুড়ে। এই নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
আজ হাথরসে কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার যাবার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। সেখানে পৌঁছানোর আগেই বন্ধ হল রাস্তা, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে আগেই।
Be the first to comment