কর্নাটক এখন পাখির চোখ কংগ্রেসের। জেডিএস এবং কংগ্রেস জোটের সরকার মাঝপথে ভেঙে যায় বিজেপির মদতে। জে়ডিএস এবং কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙিয়ে দক্ষিণের ওই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। তাদের প্ররোচনাতেই দুই শরিক কংগ্রেস এবং জেডিএস-এর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বিজেপি সরকারে এলেও তাদের মধ্যেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট। এই আবহে আগামী বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস একাই লড়তে চায় কর্নাটকে। তার জন্য তারা এখন থেকেই উঠেপড়ে লেগেছে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, এর জন্য তারা ভারত জোড়ো যাত্রার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। স্থির হয়েছে, দলের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী ২১ দিন ধরে কর্নাটক চষে বেড়াবেন। তিনি ৫১১ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করবেন পদযাত্রার মাধ্যমে। আটটি জেলা, সাতটি লোকসভা এবং ২১টি বিধানসভা এলাকা ঘুরবেন রাহুল। তাঁর পদযাত্রা শুরু হবে নাঞ্জানগুড় থেকে। তা শেষ হবে রায়চুড়ে। এখন থেকেই তার প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
আগামী ২ অক্টোবর দেশে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচি। এর জন্য এআইসিসি বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে। গত মে মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের যে চিন্তন শিবির বসেছিল, সেখানেই এই কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়। ১৩ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ওই শিবির চলে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ দলের সব শীর্ষ নেতানেত্রী উপস্থিত ছিলেন ওই শিবিরে।
দলীয় সূত্র্রের খবর, এই ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস দেশে একটা ধামাকা তৈরি করতে চাইছে। সমস্ত প্রদেশ কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পালন করতে হবে এই কর্মসূচি। এ ব্যাপারে কোনও শৈথিল্য বরদাস্ত করা হবে না। দলের মিডিয়া কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সম্প্রতি অভিযোগ করেন, যবে থেকে কংগ্রেস এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে, তবে থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দলের নেতাদের পিছনে ইডি, সিবিআই লাগিয়ে রেখেছে। তাঁর দাবি, আসলে বিজেপি বুঝতে পেরেছে, কংগ্রেস গা ঝাড়া দিয়ে উঠছে। এই কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যে দেশের সব রাজ্যে কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর মধ্যে একটা উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। এতেই ভয় পেয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল।
Be the first to comment