অশোক গেহলটের নাম নিলেন না, কিন্তু তাঁকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল – দলের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বৈত ভূমিকায় থাকতে পারবেন না তিনি। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর), কেরলে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে রাহুল গান্ধী বলেন, “আমরা উদয়পুরে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি আশা করি তা বজায় থাকবে।”
কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনে অশোক গেহলটের প্রার্থী হওয়াটা একরকম নিশ্চিত। এমনকি, বুধবার সন্ধ্যায় তিনি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করেন। তিনিই গান্ধীদের পছন্দের প্রার্থী বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে নারাজ তিনি। শচীন পাইলটকে চেয়ার দেওয়ার কোনও ইচ্ছাই নেই তাঁর। এই নিয়ে এর আগে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি কোথাও যাচ্ছেন না।
অথচ কংগ্রেসের উদয়পুর চিন্তন শিবিরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, দলে ও প্রশাসনে একটি করে পদেই থাকবেন কংগ্রেস নেতারা। রাহুল গান্ধীর এদিনের মন্তব্য, বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতার সেই অবস্থানের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অশোক গেহলট ছাড়া, এই পদের দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে শোনা যাচ্ছে শশী থারুর, দিগ্বিজয় সিং, মণীশ তিওয়ারি প্রমুখের নাম।
শুধু ‘এক ব্যক্তি এক পদ’-এর প্রতিশ্রুতি রক্ষাই নয়, ভাবি কংগ্রেস সভাপতির জন্য এদিন আরও কিছু বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন সভাপতি রাহুল। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস সভাপতির পদকে একটি আদর্শিক পদ হিসাবে দেখতে হবে। তিনি বলেন, “যিনিই কংগ্রেস প্রধান হবেন, তাঁকে মনে রাখতে হবে যে তিনি একটি ধারণার, একটি বিশ্বাসের, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করছেন।”
রাহুল আরও বলেন, “আমরা এমন একটি যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছি যেটি এই দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে দখল করে নিয়েছে। তাদের কাছে মানুষকে কেনার জন্য সীমাহীন অর্থ এবং চাপ ও হুমকি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এর পরিণতি আপনারা গোয়ায় দেখেছেন।” ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এই যাত্রার উদ্দেশ্য হল ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন বোঝানো। পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযানের প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেছেন, “উৎস নির্বিশেষে সকল ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। সাম্প্রদায়িকতার প্রতি শূন্য সহনশীলতা থাকা উচিত এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত।”
Be the first to comment