বিতর্ক এড়াতে টুইটার থেকে পোস্ট সরালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ধর্ষিত নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে দেওয়ায় কেরলের ওয়ানারের সাংসদের নামে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এরপরই রাহুল তাঁর টুইটটি ডিলিট করে দেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কিছুদিন আগে একটি ৯ বছর বয়সী দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই নিয়ে দিল্লির নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী বুধবার নিজে গিয়ে ওই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। আশ্বাস দেন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি যাতে হয় তার ব্যবস্থা করবেন। এরপর তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সেই ছবি তিনি টুইট করেন। উল্লেখ করেন নির্যাতিতা নাবালিকার নাম।
আর সেই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর নামে মামলা রুজু হয় পকসো আইনে। যৌন নির্যাতন থেকে শিশুদের রক্ষা করতে তৈরি হয়েছিল পকসো আইন। মূলত শিশুদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওই আইনে মামলা করা হয়। তাছাড়া সংবিধান অনুযায়ী, যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া মহিলা বা শিশুর নাম, পরিচয় বা ছবি প্রকাশ করা যায় না। পুলিশ বা সংবাদমাধ্যম কেউই তা প্রকাশ করতে পারে না। নির্যাতিতার পরিবারের কোনও সদস্যের নামও প্রকাশ করা বেআইনি।
এক্ষেত্রে তা প্রকাশ পেয়ে যাওয়াতেই ঘটেছে বিপত্তি। পকসো আইন ভাঙার অভিযোগে মামলা করা হয় কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে। এরপরই তড়িঘড়ি পোস্টটি সোশ্যাল সাইট থেকে মুছে দেন রাহুল।
Be the first to comment