চারদিনের ভারত সফরে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিন ছিল। এদিন তিনি যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন, তেমনই আবার বিরোধী দল কংগ্রেসের অন্য়তম শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীও দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভারত সফরে আসার ঠিক আগেরদিনই সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সহ গোটা পরিবারের হত্যা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে তাঁকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরে ভারতের মাটিতে পা রেখেও একই প্রসঙ্গ টেনে ফের ইন্দিরা গান্ধীকে ধন্যবাদ ও তাঁর কাছে কৃতঞ্জ থাকার কথা জানান শেখ হাসিনা। এরপরই ইন্দিরা গান্ধীর নাতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির চানক্যপুরীর হোটেল আইটিসি মৌর্য্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। সেখানেই দুইজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা-আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অপর একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেই দেখা করার কথা ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু তাঁর মার প্রয়াণে তিনি এখনও ইটালিতেই রয়েছেন। রাহুল-প্রিয়ঙ্কাও দিদিমার অন্তেষ্ট্যির জন্য ইটালি গিয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসের ভারত জোড়ো কর্মসূচির জন্য তাঁরা দেশে ফিরে এসেছেন। মঙ্গলবার শেখ হাসিনাও সনিয়া গান্ধীর মায়ের প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে সনিয়া গান্ধীর স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, সে বিষয়েও তিনি রাহুলের কাছে জানতে চান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। তারপর থেকে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছে তাঁর। সেই কারণে কংগ্রেসের কর্মসূচিগুলিতেও সেভাবে আর দেখা যাচ্ছিল না সনিয়া গান্ধীকে।
Be the first to comment