হিন্দুত্ববাদ, নারীদের ক্ষমতায়ন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক আর নোটবন্দি। শনিবার এই চারটি বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুললেন, মোদী নিজে কেমন হিন্দু? তিনি কি হিন্দুত্বের কিছু বোঝেন?
হিন্দুত্ববাদ ও অন্যান্য ইস্যুতে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বহুবার মোদীকে আক্রমণ করেছেন রাহুল। কিন্তু মোদীর নিজের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এই প্রথমবার।
রাজস্থানের উদয়পুরে ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশার লোকজনের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় রাহুল প্রশ্ন তোলেন, হিন্দুত্বের মূল কথাটা কি? গীতায় কী বলা হয়েছে? বলা হয়েছে, জ্ঞান আছে সকলের মধ্যেই। প্রতিটি প্রাণির মধ্যেই আছে জ্ঞান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি হিন্দু। কিন্তু হিন্দুত্বের মূল বিষয়টিই জানেন না। তিনি কেমন হিন্দু? প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, সারা পৃথিবীর জ্ঞান কেবল তাঁর মাথাতেই আছে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সম্পর্কে রাহুল বলেন, বিজেপি একটি সামরিক বিষয়কে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্য ব্যবহার করেছে। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে তারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে জোর প্রচার চালিয়েছিল। এর আগে মনমোহন সিং যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। কিন্তু সেকথা গোপন রাখা হয়।
তাঁর কথায়, আপনারা কি জানেন, মনমোহন সিং-এর আমলে তিনবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল? সেনাবাহিনীর কর্তারা মনমোহন সিংকে বলেছিলেন, পাকিস্তানের ওপরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমরা পালটা আক্রমণ চালাতে চাই। কিন্তু ব্যাপারটা যেন জানাজানি না হয়।
সেনাবাহিনী চায়, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা যেন কেউ জানতে না পারে। তাহলেই সুবিধা হয় বেশি। কিন্তু মোদীর সামনে তখন ছিল উত্তরপ্রদেশের ভোট। তিনি বুঝেছিলেন, হেরে যাবেন। তাই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রচার করলেন।
আসলে মোদী মনে করেন, তিনি আর্মির চেয়ে বেশি বোঝেন। শুধু তাই নয়, তিনি অর্থমন্ত্রীর চেয়ে বেশি অর্থনীতি বোঝেন, কৃষিমন্ত্রীর চেয়ে বেশি কৃষি বোঝেন, সবকিছুই সবার চেয়ে বেশি বোঝেন।
নোটবন্দি নিয়ে রাহুল বলেন, যে এসপিজি-রা আমাকে পাহারা দেয়, তারা অনেকে মোদীকেও পাহারা দেওয়ার কাজে মোতায়েন থাকে। তাদের কাছে শুনেছি, নোটবন্দী নিয়ে ঘোষণা করার সময় মোদী মন্ত্রিসভার সবাইকে একটা ঘরে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন। অরুণ জেটলি বা সুব্রমনিয়াম, কেউই এসম্পর্কে কিছু জানতেন না। নোটবন্দির ফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষও বিপদে পড়েছে।
Be the first to comment