ঘরে ফিরতে মরিয়া ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা, লকডাউন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘অপরাধী’ বললেন রাহুল গান্ধী

Spread the love

করোনা সামলাতে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বারবার অনুরোধ করা হয়েছে যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। সরকার আপনাদের সাহায্য করবে। তবে লকডাউন-এর জেরে কর্মহীন ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে মরিয়া। যানবাহন পরিষেবা না থাকায় দীর্ঘ পথ হেঁটেও বাড়ি ফিরতে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষকে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। আর এবার ঘুরপথে মোদী সরকারকেই অপরাধী বললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।

এমনিতে বিরোধী সংসদ হওয়ার সুবাদে মোদি বিরোধী মন্তব্যে বরাবরই মুখর রাহুল। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ও গরিব দেশবাসীকে সাহায্যের জন্য তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে সম্প্রতি তার প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছিল রাহুলেকে। তবে শনিবার উল্টো পথে হাটলেন কংগ্রেস সাংসদ। লকডাউন উপেক্ষা করে ঘরে ফিরতে মরিয়া ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের দিকে আঙুল তুললেন সোনিয়া তনয়।

এদিন এক টুইটে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘লকডাউন উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরতে মরিয়া শ্রমিকরা যেভাবে রাস্তায় বেরোচ্ছে এই ঘটনার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের নাগরিকের এমন দুর্ভোগ তৈরি করা এক ধরনের অপরাধ। এমন বিপদের সময় আমাদের দেশের ভাই বোনের ন্যূনতম সম্মানটুকু প্রাপ্য। অবিলম্বে সরকারের উচিত কিছু একটা ব্যবস্থা নেওয়া। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যেতে পারে।’

শনিবার এই টুইটের পাশাপাশি রাহুল গান্ধী কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, যে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে চাইছে তাদেরকে সাহায্য করুন।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও ক্রমশ বাড়তে থাকা করোনা ভাইরাসের চেন কাটতে আগামী ২১ দিন বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলস্বরূপ দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে লকডাউন। এমন এক সময়ে মারণ ভাইরাসের থেকে দেশরক্ষার পাশাপাশি অসহায় মানুষগুলোকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে সরকার। গরিব মানুষ গুলিকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার পাশাপাশি তাদের একাউন্টে টাকাও পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে যে সমস্ত শ্রমিকরা ভিন রাজ্যের রয়েছেন তাদের জন্য কোন ব্যবস্থা না নিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরী করার জন্য সরকারকে দুষেছে বিভিন্ন মহল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*